বিয়ানীবাজারে বিএনপি নেতাকে হত্যাচেষ্টা, জনমনে প্রশ্ন

বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি


অক্টোবর ২৬, ২০২০
০১:১৪ পূর্বাহ্ন


আপডেট : অক্টোবর ২৬, ২০২০
০১:১৪ পূর্বাহ্ন



বিয়ানীবাজারে বিএনপি নেতাকে হত্যাচেষ্টা, জনমনে প্রশ্ন

আবু নাসের পিন্টু

সিলেটের বিয়ানীবাজারে এক রহস্যঘেরা ঘটনার ৫-৬ দিন পেরিয়ে গেলেও এর জট খুলছে না। ভেতরে ভেতরে নানা কথা, অনেক প্রশ্ন। যদিও উত্তর নেই কারও কাছে। কথিত মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তি প্রাণে মারতে চেয়েছিলেন বিয়ানীবাজার পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু নাসের পিন্টুকে। তবে ভাগ্য প্রসন্ন থাকায় তিনি এ যাত্রায় বেঁচে গেছেন বলে মনে করছেন পৌরবাসী।

জানা যায়, বিয়ানীবাজার পৌরশহরের স্যানেটারি কার্যালয়ের সামনের ফটকে প্রায় ৭-৮ মাস থেকে অবস্থান করছিলেন ভবঘুরে এক ব্যক্তি। রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে দিন-রাত কাটালেও তিনি কোনোদিন কারও ক্ষতি করেননি। গভীর রাতেও তাকে রাস্তার পাশে বসে অথবা শুয়ে থাকতে দেখা যেত। তিনি কখনও চুল-দাঁড়ি কাটেননি। কারও কাছে কখনও হাতও পাতেননি 'মানসিক ভারসাম্যহীন' ওই ব্যক্তি। এমন আচরণে স্থানীয় অনেকেই তাকে খাবার-দাবার কিনে দিতেন। কেউ আবার টাকা-পয়সাও দিতেন। তাকে প্রায়ই খাবার ও টাকা-পয়সা তুলে দিতেন বিয়ানীবাজার পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও গত পৌর নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী আবু নাসের পিন্টু।

গত ১৯ অক্টোবর রাত সাড়ে ১২টার দিকে পিন্টু বাড়ি ফেরার পথে ওই ব্যক্তিকে খাবার দিতে গেলে বাঁধে বিপত্তি। ওই ব্যক্তি গলায় দা ধরে পিন্টুকে খুন করার চেষ্টা চালান। এ সময় পথচারীরা তাকে রক্ষা করেন। তখন বিক্ষুব্ধ পথচারীরা হত্যাচেষ্টাকারী ওই ব্যক্তিকে ঘিরে ধরে তল্লাশি চালালে তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন, ৩টি দা ও বেশ কিছু টাকা উদ্ধার করা হয়। সাধারণ মানুষের প্রশ্ন- ওই ব্যক্তির কাছে থাকা সচল মোবাইল ফোনটি কোথা থেকে এলো? ওই মোবাইল ফোনে চার্জ দেওয়া হয় কি করে? কার সঙ্গেই বা মোবাইলে কথা বলতেন ওই ব্যক্তি?

আবু নাসের পিন্টু বলেন, 'আমি প্রায়ই তাকে টাকা-পয়সা দেই। ওইদিন তাকে নতুন একটি লুঙ্গি এনে দেওয়ার পর সে দা নিয়ে আমাকে খুন করার চেষ্টা করে। তার কাছে কাভারসহ ছুরি পাওয়া গেছে। ওই ব্যক্তি ভারতের কেরালা অঞ্চলের ভাষায় কথা বলে। তার আচরণ রহস্যঘেরা। মূলত আমাকে হত্যার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে সে।'

ঘটনার পর খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তল্লাশি চালিয়ে ওই ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা, দা, ছুরি ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করে। ঘটনার পর থেকে কথিত ওই মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি নিখোঁজ হওয়ায় এ ঘটনার রহস্য আরও ঘনিভূত হচ্ছে। হয়তো এ রহস্য আর জানা হবে না কখনও- এমনটি মনে করছেন ঘটনার শিকার আবু নাসের পিন্টু।

 

এসএ/আরআর-১১