নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধর, হাজী সেলিমের ছেলে গ্রেপ্তার

সিলেট মিরর ডেস্ক


অক্টোবর ২৬, ২০২০
০২:৩৩ অপরাহ্ন


আপডেট : অক্টোবর ২৬, ২০২০
০২:৩৩ অপরাহ্ন



নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধর, হাজী সেলিমের ছেলে গ্রেপ্তার

নৌবাহিনী কর্মকর্তাকে মারধর ও হত্যার হুমকির মামলায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩০নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে মোহাম্মদ এরফান সেলিমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এর আগে রাজধানীর কলাবাগান এলাকায় মারধরের ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান। ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

এর আগে ভোরে মোহাম্মদ এরফান সেলিমসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে নৌ-বাহিনী অফিসারকে মারধর ও হত্যার হুমকির অভিযোগে মামলা হয়। মামলাটি করেছেন মারধরের শিকার ওয়াসিফ আহম্মেদ খান।

মামলার খবরটি নিশ্চিত করেছেন ধানমন্ডি থানার পরিদর্শক (অপারেশনস) রবিউল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। আসামিরা হলেন- ইরফান সেলিম, এ বি সিদ্দিক দীপু, জাহিদ, মীজানুর রহমান ও অজ্ঞাতনামা আরো দুই তিনজন।’

মামলার বিষয়ে রমনার ডিসি সাজ্জাদুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এ ঘটনায় এ পর্যন্ত একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এজাহারভুক্ত সব আসামিকে ধরতে অভিযান চলছে।’

‘এছাড়াও ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে’ বলেও জানান তিনি।

এর আগে রোববার (২৫ অক্টোবর) রাতে কলাবাগান ক্রসিং এর কাছে মারধরের শিকার হন নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহম্মেদ খান। মারধরের ঘটনার পর পর গাড়িটি ফেলে এর নম্বর প্লেট ভেঙে চলে যান হাজী সেলিমের ছেলে ও তার বডিগার্ডরা। গাড়ির নম্বর- ঢাকা মেট্টো- ঘ ১১-৫৭৩৬। রাতে এ ঘটনায় জিডি হলেও আজ (সোমবার) ভোরে মামলা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, এরফানের গাড়ি ওয়াসিফকে ধাক্কা মারার পর তিনি সড়কের পাশে মোটরসাইকেলটি থামিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ান এবং নিজের পরিচয় দেন। তখন গাড়ি থেকে আসামিরা একসঙ্গে বলতে থাকেন, ‘তোর নৌবাহিনী/সেনাবাহিনী বের করতেছি, তোর লেফটেন্যান্ট/ক্যাপ্টেন বের করতেছি। তোকে এখনি মেরে ফেলব’ বলে কিল-ঘুষি মারেন এবং আমার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।

‘তারা আমাকে মারধর করে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে যায়। পরে আমার স্ত্রী, স্থানীয় জনতা এবং পাশে ডিউটিরত ধানমন্ডি থানার ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা আমাকে উদ্ধার করে আনোয়ার খান মডেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।’

মামলায় মোট পাঁচটি ফৌজদারি অপরাধের ধারার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। অপরাধগুলো হলো- দণ্ডবিধি ১৪৩ অনুযায়ী বেআইনি সমাবেশের সদস্য হয়ে কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপরাধমূলকভাবে বল প্রয়োগ করা, ৩৪১ অনুযায়ী কোনো ব্যক্তকে অবৈধভাবে নিয়ন্ত্রণ করা, ৩৩২ ধারা অনুযায়ী সরকারি কর্মকর্তার কাজে বাধাদানের উদ্দেশ্যে আহত করা, ৩৫৩ ধারা অনুযায়ী সরকারি কর্মকর্তার ওপর বল প্রয়োগ করা এবং ৫০৬ ধারায় প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার।

রবিবার রাতে ধানমন্ডি থানার সহকারী উপপরিদর্শক আবদুল্লাহ জাহিদ বলেন, ‘ওই গাড়িটি সাংসদ হাজী সেলিমের। তিনি গাড়িতে ছিলেন না। তার ছেলে ও নিরাপত্তারক্ষী ছিলেন। পুলিশ সাংসদের গাড়ি ও নৌবাহিনীর কর্মকর্তার মোটরসাইকেল রাতেই ধানমন্ডি থানায় নিয়ে যায়।’

বিএ-১২