নিজস্ব প্রতিবেদক
অক্টোবর ২৯, ২০২০
০৩:৪৯ পূর্বাহ্ন
আপডেট : অক্টোবর ২৯, ২০২০
০৩:৫২ পূর্বাহ্ন
সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় জহিরুল ইসলাম (২০) নামের এক যুবক ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (২৮ অক্টোবর) সকালে মারা গেছেন। তিনি মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বলে অভিযোগ নিহতের পরিবারের। তবে পুলিশ জানিয়েছে, সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার কথা উল্লেখ করে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
নিহত জহিরুল ইসলাম সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা থানার সিরাই গ্রামের নজরুল মিয়ার ছেলে। দক্ষিণ সুরমার কদমতলী এলাকার একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন জহিরুলের পরিবার। গত সোমবার (২৬ অক্টোবর) জহিরুলের উপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেছে তার পরিবার।
নিহতের ভাই দীন ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘তার ভাই রং মিস্ত্রির কাজ করতেন। গত সোমবার সন্ধ্যায় রংমিস্ত্রির কাজ থেকে বাড়িতে ফেরার পর জহিরুল গ্রামেই একটু ঘুরতে যান। পরে জৈনপুর এলাকার মাদক ব্যবসায়ী ফখরুল ইসলামের নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে জহিরুল ইসলামকে আহত করা হয়। মাদক ব্যবসায় জড়িত হতে রাজী না হওয়ায় এই হামলা চালানো হয়। মারধরের পর হামলাকারীরা পালিয়ে গেলে স্থানীয়রা জহিরুলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করেন।’
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (গণমাধ্যম) আশরাফ সিদ্দিকী সিলেট মিররকে বলেন, ‘গত ২৬ অক্টোবর রাত সাড়ে নয়টার দিকে শিববাড়ি মোড় থেকে ১৫ ফিট দূরে রেললাইনের পাশে তাকে আহত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরবর্তীতে এক সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। জহিরুল সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে বলে ভর্তির সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। এসময় তার মাথা থেতলানো ছিল এবং মুখে স্পট ছিল। সেই সময় থেকেই ওই কিশোরের জ্ঞান ছিল না। বুধবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে।’
নিহতের পরিবার অভিযোগ করছে মাদক ব্যবসায়ীদের মারধরে গুরুতর আহত হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যেহেতু নিহতকে রেলওয়ের এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে বিষয়টি রেলওয়ে পুলিশ তদন্ত করবে। পরিবারে এমন অভিযোগ যদি থাকে তাহলে তা খতিয়ে দেখা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে লাশ ময়না তদন্তের জন্য ওসমানী হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার লাশের ময়না তদন্ত করা হবে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।’
তবে এখানও এ ঘটনায় কোনো মামলা দায়ের হয়নি বলেও জানান তিনি।
এনএএইচ/বিএ-১০