এএসআই আশেক পাঁচ দিনের এবং হারুন ফের তিন দিনের রিমান্ডে

সিলেট মিরর ডেস্ক


অক্টোবর ২৯, ২০২০
০৬:০৩ অপরাহ্ন


আপডেট : অক্টোবর ২৯, ২০২০
০৬:০৮ অপরাহ্ন



এএসআই আশেক পাঁচ দিনের এবং হারুন ফের তিন দিনের রিমান্ডে

সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে রায়হান হত্যার ঘটনায় পুলিশের এএসআই আশেক এলাহিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। অন্যদিকে একই ঘটনায় পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে পুলিশ কনস্টেবল হারুনু রশীদকে ফের তিন দিনের রিমান্ডে নিয়েছে সংস্থাটি।

আজ বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) বেলা ৩ টায় কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে পিবিআই তাদেরকে সিলেটের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমানের আদালতে হাজির করে।

এসময় আশেক এলাহীর সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। একই সময় কনস্টেবল হারুনুর রশীদের ফের ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর মধ্যে আশেক এলাহীকে বুধবার (২৮ অক্টোবর) রাতে পুলিশ লাইন্স থাকা অবস্থায় তাকে গ্রেপ্তার দেখায় পিবিআই। আর হারুনুর রশীদকে গ্রেপ্তারের পর গত ২৪ অক্টোবর পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়েছিল পিবিআই।

এ নিয়ে চাঞ্চল্যকর এ মামলায় তিন পুলিশসহ চারজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হলো। এরমধ্যে গত ২৫ অক্টোবর শেখ সাইদুর নামে একজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই। পরে তাকে ৫৪ ধারায় আদালতে চালান দেওয়া হয়।

পিবিআই এর একটি সূত্র জানায়, রায়হানকে আটকের আগে ছিনতাইয়ের অভিযোগকারী ছিলেন শেখ সাইদুর রহমান। অভিযোগের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন থাকায় তাকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আর গত ২৪ অক্টোবর সিলেট মেট্রোপলিটনের বন্দর বাজার ফাঁড়িতে রায়হান আহমদ নামের এক যুবক হত্যার ঘটনায় ফাঁড়ির বহিষ্কৃত কনস্টেবল হারুনুর রশীদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

এর আগে গত ২০ অক্টোবর বহিষ্কৃত কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাসকে গ্রেপ্তার দেখায় পিবিআই। এদিকে এ ঘটনার মূল অভিযুক্ত বন্দরবার পুলিশ ফাঁড়ির সদ্য বহিষ্কৃত ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া এখনো পলাতক রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গত ১১ অক্টোবর ভোরে পুলিশের নির্যাতনে রায়হান উদ্দিন (৩৩) নামে এক যুবক নিহত হওয়ার অভিযোগ তুলেন তার স্বজনরা। নিহত ওই যুবক সিলেটের আখালিয়ার নেহারিপাড়ার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে।

পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ছিনতাইকালে গণপিটুনিতে মারা গেছেন রায়হান। তবে নিহতের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, পুলিশ ধরে নিয়ে নির্যাতন করে রায়হানকে হত্যা করেছে।

এ ঘটনায় ১১ অক্টোবর দিবাগত রাতে নিহত রায়হানের স্ত্রী বাদী হয়ে অজ্ঞাত কয়েকজন আসামি করে কোতোয়ালী থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলাটি বর্তমানে তদন্ত করছে পিবিআই।

 

এএফ/০১