গ্রেপ্তার এড়াতে এলাকাছাড়া বিশ্বনাথ বিএনপির নেতা-কর্মীরা

বিশ্বনাথ প্রতিনিধি


নভেম্বর ০২, ২০২০
০২:০৩ পূর্বাহ্ন


আপডেট : নভেম্বর ০২, ২০২০
০৯:৪৩ অপরাহ্ন



গ্রেপ্তার এড়াতে এলাকাছাড়া বিশ্বনাথ বিএনপির নেতা-কর্মীরা

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মধ্যে গ্রেপ্তার আতঙ্ক বিরাজ করছে। গ্রেপ্তার এড়াতে তারা এখন এলাকায় থাকছেন না।

গত শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) রাতে দলটির ৩৫ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে ও আরও ১২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা করেছে বিশ্বনাথ থানার পুলিশ। দীর্ঘ ১৭ বছর পর অনুষ্ঠিত বিশ্বনাথ উপজেলার দশঘর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের দিন গত বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) সরকারি কাজে বাধা, প্রিজাইডিং কর্মকর্তাসহ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে অবরুদ্ধ করে পুলিশের উপর হামলা ও নির্বাচনী সরঞ্জাম বহনকারী গাড়ি ভাংচুর করার অভিযোগে থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়। মামলা দায়েরের পর থেকেই গ্রেপ্তার এড়াতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বিএনপির নেতা-কর্মীরা। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি থাকায় উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কয়েকশ নেতা-কর্মী গা ঢাকা দিয়েছেন।

মামলার অভিযুক্তরা হলেন- দশঘর ইউপির নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এমাদ উদ্দিন খান, উপজেলা বিএনপি নেতা আরব খান, জয়নাল আবেদীন, জানু মিয়া, পৌর বিএনপি নেতা আহেমদ নূর উদ্দিন, আবদুর রহমান খালেদ, ফরিদ আহমদ, বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম হান্দু মিয়া, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক আবেদুর রহমান আছকির, বিশ্বনাথ থানা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক হিফজুর রহমান নোমান, গোবিন্দ মালাকার, যুবদল নেতা আবদুর রব সরকার, দৌলতপুর যুবদলের সভাপতি আব্দুর রউফ, যুবদল নেতা মিসবাহ খান, সুলতান খান, আবদুল মুমিন কালু, আনোয়ার হোসেন, জাকির আহমদ, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক হোসাইন আহমেদ প্রবেল, সদস্য সুলতান মিয়া, পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক ফখরুল ইসলাম রেজা, ছাত্রদল নেতা নাজমুল হাসান শিমুল, নিজাম উদ্দিন, তেরাব আলী, জাহেদ, আতিনুর রহমান আতিকুর, দিলু মিয়া, বেলাল, মখলিছুর রহমান, রাশেদ মিয়া, লিফু মিয়া, রেজাউল করিম রাজু, সালমান, ছাইদুর রহমান ও রুফু মিয়া।

পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার দশঘর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের পর দশঘর এনইউ উচ্চবিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র থেকে সন্ধ্যায় ব্যালট বাক্স ও নির্বাচনী সরঞ্জাম নিয়ে উপজেলা সদরে যাওয়ার সময় পুলিশের উপর হামলা চালান অভিযুক্তরা। এ সময় নির্বাচনী সরঞ্জাম বহনকারী একটি পিকআপ (মিনি ট্রাক) গাড়ির গ্লাস ভাংচুর করেন তারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে।

এ ব্যাপারে উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক জালাল উদ্দিন বলেন, 'মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের দমন করা যাবে না। ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের হয়রানি করা হচ্ছে। এ মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।'

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিশ্বনাথ থানার ওসি (তদন্ত) রমা প্রসাদ চক্রবর্তী বলেন, 'মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।' তবে আজ রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এ মামলার কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি বলে তিনি জানান। 

 

এমএ/আরআর-১৩