শাবি প্রতিনিধি
নভেম্বর ০৩, ২০২০
০২:২২ পূর্বাহ্ন
আপডেট : নভেম্বর ০৩, ২০২০
০২:২২ পূর্বাহ্ন
করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের মধ্যে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আটকে থাকা দুই সেমিস্টারের ক্লাস-পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের ‘মানবিকভাবে মূল্যায়ন’ করার কথা জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। তিনি জানান, সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষার বিষয়ে ইউজিসি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে একটা পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করা হবে। তবে এ বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
আজ সোমবার (২ নভেম্বর) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে অনলাইনে ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মার্চের শেষে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণার পর ইতোমধ্যে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রায় দুই সেমিস্টারের ক্লাস অনলাইনে ভার্চুয়াল ক্লাসের মাধ্যমে সম্পন্ন করেছে। দু'টি সেমিস্টারে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি সন্তোষজনক ছিল জানিয়ে উপাচার্য বলেন, 'যেসব শিক্ষার্থীর সমস্যা ছিল, আমরা তাদের সমস্যা এড্রেস করে সমাধানের চেষ্টা করেছি। প্রতিমাসে ডাটা দিচ্ছি, আর্থিক সমস্যায় প্রণোদনা দিচ্ছি, মানসিক সমস্যায় কাউন্সিলিং করছি।'
সেমিস্টার শেষ হয়ে যাওয়ার পর অনলাইনে পরীক্ষা গ্রহণে শিক্ষকরা চাপ সৃষ্টি করছেন, যার ফলে অনেক শিক্ষার্থী বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে- এমন অভিযোগ তোলে বিগত সপ্তাহে বিভিন্ন বিভাগের কয়েক সেমিস্টারের শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেন। এ ব্যাপারে উপাচার্য বলেন, 'আমরা টার্ম টেস্টসহ ক্লাস পরীক্ষাগুলো সম্পন্ন করতে চাইছি। এজন্য শ্রেণি প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে বিভাগীয় প্রধান ও ছাত্র উপদেষ্টাদের বলেছি। মানবিকভাবে শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে। কারণ করোনাকালে শিক্ষার্থীদের উপর চাপ সৃষ্টি করা যাবে না, কোনো ধরণের প্রেশার দেওয়া যাবে না।'
তিনি বলেন, 'আমরা শেষ করা দুই সেমিস্টারের পরীক্ষা এমনভাবে নেব যাতে কোনো শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। সংশ্লিষ্ট কোর্স শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে যেকোনো সহজ পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করতে পারেন। এটা অনলাইনে কুইজ পরীক্ষা, অ্যাসাইনমেন্ট, ভাইভা নিয়ে হতে পারে। এসবের কোনোটাতে কোন শিক্ষার্থীকে যুক্ত করা না গেলে তার সঙ্গে দুই-চার মিনিট কথা বলেও তাকে মূল্যায়ন করা যেতে পারে। কিন্তু কোনোভাবেই শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নে বঞ্চিত করা যাবে না। করোনাকালে তাদের ছাড় দেওয়া বা সুযোগ দেওয়া দোষের কিছু না।'
উপাচার্য আরও বলেন, 'কোনো নির্দিষ্ট সময়ে সকল শিক্ষার্থীকে এক সঙ্গে যুক্ত করতে না পারলে পরবর্তী সময়ে বাদ পড়া শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে তাকে পুনরায় সুযোগ দেওয়া হবে। এখানে ধরাবাঁধা নিয়মের প্রয়োগ হবে না।
তিনি বলেন, 'সকল বিষয়ে ছাড় দেওয়া হচ্ছে শুধু করোনা পরিস্থিতির কারণে। কারণ আমাদের বসে থাকলে চলবে না। একটা পদ্ধতি বের করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। শিক্ষার্থীদের সকল সমস্যা শিক্ষকরা বিবেচনায় নিয়ে মানবিকভাবে মূল্যায়ন করবেন। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের শুধু কো-অপারেট করতে হবে।'
এইচআই/আরআর-০৮