কার্ড থাকলেও চাল পাচ্ছে না ধর্মপাশার ১২টি পরিবার

শামীম আহমেদ, ধর্মপাশা


নভেম্বর ০৪, ২০২০
০৬:২৫ অপরাহ্ন


আপডেট : নভেম্বর ০৪, ২০২০
০৭:০৬ অপরাহ্ন



কার্ড থাকলেও চাল পাচ্ছে না ধর্মপাশার ১২টি পরিবার

খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় থাকা সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নে ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাকরহাটি গ্রামের হতদরিদ্র ১২টি পরিবার পাচ্ছে না ১০ টাকা দামের সরকারি চাল। এই চাল পাওয়ার জন্য তাদের প্রত্যেকের কার্ড থাকলেও গত দুইমাস ধরে তারা চাল পাচ্ছেন না বলে জানা গেছে।

ওই ইউনিয়নের সুবিধাভোগীদের তালিকায় সুবিধাভোগীদের নাম, মুঠোফোন নম্বরসহ নানা বিষয়ে গরমিল থাকার অজুহাতে এসব কার্ডধারীদের মধ্যে ওই ইউনিয়নের নিয়োজিত ডিলার আরব আলী চাল বিতরণ করছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে এসব দরিদ্র পরিবার ১০ টাকা কেজির চাল কিনতে না পেরে চরম কষ্টের মধ্যে দিনযাপন করছে। এ সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ওই ইউনিয়নের কাকরহাটি গ্রামের বাসিন্দা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সুবিধাভোগী বিলকিস আক্তারের স্বামী আব্দুর রহিম গত রবিবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনওর) কাছে দেওয়া লিখিত অভিযোগ থেকে ও ভুক্তভোগী কার্ডধারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ৪৭২ জন কার্ডধারী রয়েছেন। ওই ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাকরহাটি গ্রামে ২৭টি হতদরিদ্র পরিবার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় রয়েছে। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সূচনালগ্ন থেকে ওই ইউনিয়নের কার্ডধারীদের সঙ্গে এই ১২টি হতদরিদ্র পরিবারও কেজিপ্রতি ১০ টাকা দামে ৩০ কেজি চালের সুবিধা ভোগ করে আসছিল। কিন্তু গত দুইমাস ধরে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণ চলে আসলেও ওই ১২টি হতদরিদ্র পরিবারকে এই সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না। তালিকায় নাম না থাকাসহ নানা অজুহাতে তাদেরকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাকরহাটি গ্রামের বাসিন্দা কার্ডধারী বিলকিস আক্তারের স্বামী আবদুর রহিম বলেন, 'আমরার কার্ডও সমস্যা কইয়া ডিলার আরব আলী গত দুইমাস ধইরা আমরারে ১০ টাকা কেজি দামে চাউল দিতাছে না। এই সমস্যা সমাধানের লাইগ্যা ইউএনও স্যারের কাছে একটা লিখিত অভিযোগ দিছি।'

আর বংশীকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়নের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির নিয়োজিত ডিলার আরব আলী বলেন, '১০ টাকা কেজিতে চাল পাওয়া সুবিধাভোগীদের নাম, স্বামীর নাম ও আইডি কার্ডের নম্বরে হেরফের থাকায় ওই গ্রামের ১০টি পরিবারকে চাল দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এসব কার্ডধারীদের চাল আমি খাদ্য গুদামে ফেরত দিয়েছি।'

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মুনতাসির হাসান বলেন, 'এ সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ আমি পেয়েছি। তদন্ত করে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

 

এসএ/আরআর-০৪