সুনামগঞ্জে বোরো ফসলের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি


নভেম্বর ০৭, ২০২০
০২:০৭ পূর্বাহ্ন


আপডেট : নভেম্বর ০৭, ২০২০
০২:০৭ পূর্বাহ্ন



সুনামগঞ্জে বোরো ফসলের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ

সুনামগঞ্জের হাওরে ২০২০-২০২১ বছরে বোরো ফসলের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ বছর জেলায় ২ লাখ ১৯ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দিয়েছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। গতবার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২ লাখ ১৯ হাজার ৪৫০ হেক্টর। অর্জন হয়েছিল ২ লাখ ১৯ হাজার ৩০০ হেক্টর। 

তবে যথাসময়ে পানি নামা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে এবার। যার ফলে বীজতলা তৈরিতে বিলম্ব হবে। যে কারণে কৃষি বিভাগ বিআর ২৮, ২৯ ও ৫৮ জাতসহ উচ্চ ফলনশীল বোরো ধানের বীজতলা তৈরির পরামর্শ দিয়েছে কৃষকদের। কৃষকরা জানিয়েছেন, বিলম্বে চাষ হলে আগাম বন্যার মুখে পড়তে পারে বোরো ফসল।

সুনামগঞ্জ কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, অন্যান্য বছর নভেম্বরের শুরু থেকেই বীজতলা তৈরির ধুম পড়ে। কিন্তু এবার চারবারের বন্যার কারণে পানি বিলম্বে নামছে। তাই বীজতলা এখনও ভেসে ওঠেনি। তাই নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই বীজতলা তৈরির কথা জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। এ আশঙ্কার কারণে আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে বিআর ২৮, বিআর ২৯ ও বিআর ৫৮ প্রজাতির বোরো ধানসহ হাইব্রিড বীজতলা তৈরির পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে কৃষকদের। বিলম্বে চাষের ক্ষতি পুষিয়ে আনতে হাইব্রিড ও উচ্চফলনশীল জাতের ধান চাষাবাদের পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। পানি বিলম্বে নামলে লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে প্রভাব পড়বে বলে কৃষি বিভাগ আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। তবে গতবার বাম্পার ফলন হওয়ায় আসছে বোরো মৌসুমেও বাম্পার ফলনের আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, বোরো মৌসুমে জেলায় পুনর্বাসন ও প্রনোদনা পাবে ১৩ হাজার কৃষক পরিবার। তাদেরকে ৫ কেজি করে বীজধান ও ৩০ কেজি করে সার দেওয়া হবে। এছাড়াও গম, ভুট্টা, সরিষা ও সূর্যমুখীসহ মৌসুমী চাষাবাদের জন্যও বীজ-সার প্রনোদনা এসেছে। ইতোমধ্যে সুবিধাভোগী কৃষকদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। শিগগির তাদের হাতে প্রণোদনার বীজ ও সার তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

শনির হাওরের ভবানীপুর গ্রামের কৃষক অতুল দাস বলেন, 'এ বছর পানি বিলম্বে নামছে। আমাদের এলাকায় এখনও বীজতলা ভেসে ওঠেনি। তাছাড়া আমাদের এলাকার প্রণোদনার বীজও পাননি কৃষকরা। পানি না নামলে বীজতলা তৈরিতে বিলম্ব হবে। এতে আগাম বন্যার মুখে পড়তে পারে বিলম্বিত বোরো ফসল।'

শাল্লা উপজেলার মনুয়া গ্রামের কৃষক উজ্জ্বল চৌধুরী বলেন, 'আমাদের এলাকার হাওর থেকে পানি নামছে না। অন্যান্য বছর এমন সময় জমি ভেসে ওঠায় বীজতলা তৈরির কাজ শুরু হয়ে যেত। এ বছর এখনও বীজতলা নিমজ্জিত রয়েছে।'

সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা সালাহ উদ্দিন টিপু বলেন, 'এবারের চারবারের বন্যার কারণে অনেক হাওরে এখনও পানি। তাই বীজতলা তৈরিতে কিছুটা বিলম্ব হতে পারে। আমরা বেশি করে বিআর ২৮, ২৯ ও ৫৮ জাতসদ হাইব্রিড ধান চাষাবাদের পরামর্শ দিচ্ছি।'

 

এসএস/আরআর-০৮