কবিগুরুর মাছিমপুর আগমনের স্মৃতি সংরক্ষণ করা হবে

সিলেট মিরর ডেস্ক


নভেম্বর ০৮, ২০২০
০৩:০২ পূর্বাহ্ন


আপডেট : নভেম্বর ০৮, ২০২০
০৩:০২ পূর্বাহ্ন



কবিগুরুর মাছিমপুর আগমনের স্মৃতি সংরক্ষণ করা হবে

সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেছেন, ‘কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সিলেটের মাছিমপুর মণিপুরি পল্লীতে আগমনের স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য মাছিমপুরের আশেপাশে একটি কমপ্লেক্স বা সেন্টার করা হবে।’

কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মাছিমপুর মণিপুরি পাড়ায় আগমনের ১০১তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে গত শুক্রবার মাছিমপুরে রবীন্দ্রনাথ : ১০১ তম স্মরণোৎসব উদযাপন পরিষদ, মসকস মাছিমপুর ও সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

পরিষদের আহ্বায়ক অলক সিংহের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি আরও বলেন, ‘নারীদের চলাফেরার নিরাপত্তা দিতে নগরে উন্নতমানের সিসি (ক্লোজ সার্কিট) ক্যামেরা বসানো হবে। আর নগরের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য কালীঘাট, সোবহানীঘাট সবজি বাজার ও মাছিমপুরের শুটকি আড়ৎ দক্ষিণ সুরমায় স্থানান্তর করা হবে। নগরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি হলে পর্যটকের সংখ্যাও বাড়বে। ফলে পর্যটন খাতে আয় বৃদ্ধি পাবে।  

প্রধান বক্তা ছিলেন লেখক গবেষক অনুবাদক মিহিরকান্তি চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন মণিপুরি সমাজকল্যাণ সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আনন্দ মোহন সিংহ, সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সভাপতি মিশফাক আহমদ চৌধুরী।

পরিষদের সদস্য সচিব সাংবাদিক সুনীল সিংহের পরিচালনায় বক্তব্য দেন, মণিপুরি সমাজকল্যাণ সমিতির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি স্বপন কুমার সিংহ, মসকস মাছিমপুর শাখার সম্পাদক ধীরেন্দ্র সিংহ ধীরু, মসকস সিলেট জেলা শাখার সভাপতি নির্মল কুমার সিংহ, সিলেট বিভাগীয় মণিপুরি জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মন্টুরাজ সিংহ, মসকস চুনারুঘাটের বিশগাঁও শাখার প্রতিনিধি মিলন সিংহ জ্যোতি, মণিপুরি মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষক সমিতির সিলেট প্রতিনিধি দিপাল কুমার সিংহ, কমলগঞ্জস্থ মণিপুরি ললিতকলা একাডেমীর গবেষণা কর্মকর্তা প্রভাস চন্দ্র সিংহ। সভার শুরুতে পবিত্র গীতা পাঠ করেন পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক অনুপ সিংহ।

এর আগে সন্ধ্যায় নগরীর মাছিমপুর মণিপুরিপাড়ায় স্থাপিত কবিগুরুর ভাস্কর্যে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ শেষে ১০১টি মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্জ্বালন করা হয়। আলোচনা সভা শেষে মণিপুরি কালচারাল একাডেমী মাছিমপুর ও বিএম প্রভা গীতি নিকেতনের শিল্পীরা নৃত্য পরিবেশন করেন। নৃত্য শেষে সিলেটের প্রখ্যাত রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী রানা কুমার সিনহা ও মৌলভীবাজারের সুস্মিতা সিনহা বিথী রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশন করেন।

এর আগে গত ৫ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ভারত বাংলাদেশের ১০ জন আলোচক অংশ নেন। আলোচ্য বিষয় ছিল- মাছিমপুরে রবীন্দ্রনাথ ও মণিপুরি নৃত্য।

আলোচনায় অংশ নেন, সিলেট জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দেবজিৎ সিংহ, মণিপুরি সমাজকল্যাণ সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আনন্দ মোহন সিংহ, গবেষক অপূর্ব শর্মা, ভারতের আগরতলা সংস্কৃত কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ নিরুপমা সিনহা, আসামের মণিপুরি বিষ্ণুপ্রিয়া রাইটার্স ফোরামের সভাপতি দিলস লক্ষ্মীন্দ্র সিংহ, পশ্চিমবঙ্গের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের মণিপুরি নৃত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. সুমিত বসু, কবি ও গবেষক ড. রণজিত সিংহ, অধ্যাপক প্রণব কান্তি দেব, মসকস এর কেন্দ্রীয় সম্পাদক কমলাবাবু সিংহ।

ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভা পরিচালনা করেন উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব সাংবাদিক সুনীল সিংহ ও মসকস সিলেট জেলা শাখার সভাপতি নির্মল কুমার সিংহ।

আরসি-০৩