নিজস্ব প্রতিবেদক
নভেম্বর ০৯, ২০২০
১১:৩৪ অপরাহ্ন
আপডেট : নভেম্বর ০৯, ২০২০
১১:৩৪ অপরাহ্ন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সিলেটরে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে পুলিশের নির্যাতনে নিহত রায়হান আহমদের পরিবারের সদস্যরা। সোমবার (৯ নভেম্বর) সকালে তাঁর দপ্তরে সাক্ষাৎ করেন তারা।
এ সময় তারা রায়হান হত্যা মামলার বিষয়ে সর্বশেষ অবস্থা তুলে ধরেন।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন এ হত্যার সঠিক তদন্ত ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ বলে জানান।
সাক্ষাৎকালে উপস্থিত ছিলেন রায়হানের চাচা মইনুল ইসলাম কুদ্দুস, ভগ্নীপতি মোফাজ্জেল আলী, মামাত ভাই শওকত আলী এবং রায়হানের আত্মীয় ও সিলেট মহানগরের কাউন্সিলর মোকলেস রহমান কামরান এবং ব্যারিস্টার ফয়েজ আহমেদ। এছাড়া সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেনও এসময় উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে রায়হান হত্যার ঘটনার মূল অভিযুক্ত পুলিশের বহিস্কৃত উপ পরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভূইয়াকতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ সোমবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট জেলা পুলিশের সহকারি পুলিশ সুপার (কানাইঘাট সার্কেল) আব্দুল করিম।।
আকবর ভারতের মেঘালয় রাজ্যে পালিয়ে গেছেন বলে এর আগে বিভিন্ন গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেলেও এএসপি আব্দুল করিম জানিয়েছেন, ভারতে পালানোর সময় সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে সিলেটে নিয়ে আসা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত ১০ অক্টোবর শনিবার মধ্যরাতে রায়হানকে নগরের কাষ্টঘর থেকে ধরে আনে বন্দরবাজার ফাঁড়ি পুলিশ। পরদিন ১১ অক্টোবর ভোরে ওসমানী হাসপাতালে তিনি মারা যান। রায়হানের পরিবারের অভিযোগ, ফাঁড়িতে ধরে এনে রাতভর নির্যাতনের ফলে রায়হান মারা যান। ১১ অক্টোবর রাতেই রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার বাদী হয়ে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে মামলা করেন।
এ ঘটনায় সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) মো. আজবাহার আলী শেখের তত্ত্বাবধানে তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধান কমিটি তদন্ত করে ফাঁড়িতে পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর বিষয়ে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়। এ ঘটনায় ১২ অক্টোবর ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে ফাঁড়ি থেকে প্রত্যাহার করা হয়। এরপর থেকে প্রধান অভিযুক্ত এসআই আকবর পলাতক ছিলেন।
বিএ-১০