সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
নভেম্বর ১১, ২০২০
০২:৩২ পূর্বাহ্ন
আপডেট : নভেম্বর ১১, ২০২০
০২:৩২ পূর্বাহ্ন
হাওরের পানি বিলম্বে নামার কারণে বোরো চাষিরা বীজতলা প্রস্তুত করতে পারছেন না। তাই প্রাকৃতিক কারণে এ বছর বোরো চাষও বিলম্বে হবে বলে মনে করছেন চাষিরা। বোরো চাষে বিলম্ব হলে আগাম বন্যায় ফসলহানির ঝুঁকি রয়েছে।
সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, আজ মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) পর্যন্ত জেলায় ১৫০ হেক্টর জমিতে বোরো বীজতলা তৈরি করেছেন কৃষকরা। এ বছর ১০ হাজার ৮৯০ হেক্টর জমিতে বোরো বীজতলা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ লাখ ১৯ হাজার ৩০০ হেক্টর। পানি বিলম্বে নামার কারণে কৃষি বিভাগ মৌসুমে চাষ পুষিয়ে নিতে বিআর ২৮, ২৯ ও বিআর ৫৮ জাতের ধানসহ হাইব্রিড ধান চাষের পরামর্শ দিচ্ছে কৃষকদের।
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, বীজতলা তৈরির পর ৩০-৪৫ দিনের মধ্যে চাষাবাদ করতে হয়। পানি বিলম্বে নামার কারণে এ বছর ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত বীজতলা তৈরির সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। ডিসেম্বরের ১৫ তারিখ পর্যন্ত বীজতলা তৈরির সময় সীমা নির্ধারণ করলেও হাওরের জমিতে ধান লাগাতে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত সময় লাগবে। ওই সময়ে চাষাবাদ করলে আগাম বন্যার আশঙ্কা থাকে। কারণ হাওরাঞ্চলে মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকেই আগাম বন্যার পদধ্বনি দেখা দেয়। কিন্তু এ বছর পরপর চারবারের বন্যার কারণে এখনও হাওরে যথেষ্ট পানি রয়ে গেছে। তাই পানি নামতে বিলম্ব হচ্ছে।
জামালগঞ্জ উপজেলার পাগনার হাওরের ছয়হারা গ্রামের কৃষক সাধন তালুকদার বলেন, 'আমাদের হাওরের পানি কমছে না। আমরা বরাবরই জলাবদ্ধ অবস্থায় থাকি। চাষ করতে পারি না। এবার পানি নামতে আরও বিলম্ব হচ্ছে।'
হাওরের কৃষি ও কৃষক রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি প্রফেসর চিত্তরঞ্জন তালুকদার বলেন, 'আমি সম্প্রতি একাধিক হাওর ঘুরে এসেছি। হাওরগুলো এখনও পানিতে টইটম্বুর। অপরিকল্পিত বাঁধ, সড়ক নির্মাণ এবং নদী ও খাল ভরাট হয়ে যাওয়ার কারণে পানি ধারণ ক্ষমতা কমে গেছে।'
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সবিবুর রহমান বলেন, 'চারবারের বন্যার কারণে হাওরের পানি কিছুটা বিলম্বে নামছে। তবে এখন পানি দ্রুত নামছে। আমরা পানি না নামার কারণে বাঁধের কাজের প্রাক্কলণ করতে পারছি না।'
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা সালাহ উদ্দিন টিপু বলেন, 'হাওরের পানি কিছুটা বিলম্বে নামছে। এ কারণে আমরা কৃষকদের বিআর ২৮, ২৯ ও ৫৮ প্রজাতির বীজতলা তৈরির পরামর্শ দিচ্ছি।
এসএস/আরআর-১০