হাসপাতাল থেকে আবারও রিমান্ডে আকবর

নিজস্ব প্রতিবেদক


নভেম্বর ১৪, ২০২০
০৪:৫৯ পূর্বাহ্ন


আপডেট : নভেম্বর ১৪, ২০২০
০৫:১৬ পূর্বাহ্ন



হাসপাতাল থেকে আবারও রিমান্ডে আকবর

সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে রায়হান আহমদ হত্যা ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত এসআই (বরখাস্তকৃত) আকবর হোসেন ভূঁইয়া বর্তমানে ৭ দিনের রিমান্ডে পিবিআইয়ের অধীনে আছেন।

আজ শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে রাত সাড়ে আটটার দিকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা শেষে রাত সাড়ে ৯টার দিকে পুনরায় তাকে নিয়ে যায় পিবিআই।

পিবিআই সিলেটের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ খালেদ উজ জামান সিলেট মিররকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন,‘ রিমান্ডে থাকাকালীন অবস্থায় অসুস্থতা বোধ করলে আকবরকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে প্রাথমিক চিকিৎসা ও কিছু পরীক্ষা করিয়ে আবারও তাকে পিবিআই কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়েছে।’

এর আগে গত ৯ নভেম্বর কানাইঘাটের সীমান্তবর্তী ডোনা এলাকা থেকে জেলা পুলিশের একটি দল আকবরকে গ্রেপ্তার করে বলে পুলিশ দাবি। পুলিশ জানায়, ভারতে পালানোর সময় তাঁকে সকাল ৯টার দিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে সীমান্ত এলাকার অন্য একটি সূত্র জানায়, আকবর কানাইঘাটের ডোনা সীমান্তের ওপারে খাসিয়া পল্লিতে বসবাস করছিলেন। খাসিয়ারা তাকে বাংলাদেশে পাঠালে পুলিশ খবর পেয়ে গ্রেপ্তার করে। পরদিন ১০ নভেম্বর আকবরকে ৭ দিনের রিমান্ড নেয় পিবিআই।

উল্লেখ্য, গত ১০ অক্টোবর শনিবার মধ্যরাতে রায়হানকে তুলে নিয়ে কোতোয়ালি থানাধীন বন্দরবাজার ফাঁড়িতে আটকে রেখে নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ করে তাঁর পরিবার। পরদিন রবিবার সকালে তিনি মারা যান। রবিবার রাতে রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে মামলা করেন। সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) মো. আজবাহার আলী শেখের তত্ত্বাবধানে তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধান কমিটি তদন্ত করে ফাঁড়িতে পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর বিষয়টি সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়। এ ঘটনায় ১২ অক্টোবর ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াসহ চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে ফাঁড়ি থেকে প্রত্যাহার করা হয়। এর পর থেকে প্রধান অভিযুক্ত এসআই আকবর বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। তাকে সহায়তা ও তথ্য গোপনের অভিযোগে ২১ অক্টোবর ফাঁড়ির আরেক এসআই হাসানকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এদিকে গত ১৩ অক্টোবর মামলাটি পিবিআইতে হস্তান্তর করা হয়।

এর আগে পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য রায়হানের মরদেহ কবর থেকে উত্তোলনের আবেদন করেছিলেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল বাতেন। পরে গত ১৫ অক্টোবর পিবিআই সিলেটের আখালিয়া নবাবি মসজিদ কবরস্থান থেকে রায়হানের মরদেহ উত্তোলন কাজ শেষ করে। ময়না তদন্তের রিপোর্টে জানা যায় ভোঁতা অস্ত্রের আঘাতেই রায়হানের মৃত্যু হয়।

এনএইচ/আরসি-০১