ঘটনার আলামত ছেলের কাপড়-মোবাইল উদ্ধার না হওয়ায় শঙ্কিত রায়হানের মা

সিলেট মিরর ডেস্ক


নভেম্বর ১৪, ২০২০
১১:৪৭ অপরাহ্ন


আপডেট : নভেম্বর ১৫, ২০২০
১২:২২ পূর্বাহ্ন



ঘটনার আলামত ছেলের কাপড়-মোবাইল উদ্ধার না হওয়ায় শঙ্কিত রায়হানের মা

সিলেট মহানগরের বন্দর বাজার ফাঁড়িতে পুলিশি নির্যাতনে মারা যাওয়া রায়হান আহমদের পরনের শার্ট ও ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার না হওয়া এবং তিন পুলিশ সদস্য স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী না দেওয়ায় পরিবার শঙ্কিত রয়েছে বলে জানিয়েছেন মা সালমা বেগম। 

আজ শনিবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে নগরের আখালিয়া এলাকার নিজ বাড়িতে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে রায়হানের মা সামলা বেগম নিজের শঙ্কা কথা জানান।

তিনি বলেন, সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনের আগের রাতে নীল শার্ট পরেই বেরিয়েছিলেন রায়হান। কিন্তু রায়হানের মরদেহে ছিল লাল শার্ট। এছাড়া মৃতদেহ হস্তান্তরের সময় তার মোবাইলও ফিরিয়ে দেয়নি পুলিশ। হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া তিন পুলিশ সদস্যের কেউই ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেননি। এতে করে সুষ্ঠু বিচার নিয়ে আমরা শঙ্কায় রয়েছি। 

তবে জবানবন্দী না দিলেও সর্বোচ্চ শাস্তির ক্ষেত্রে প্রভাব পড়বে না বলে জানান সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত আইনজীবীরা।

সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ বলেন, আমরা আশা করেছিলাম আসামিরা দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেবে। কিন্তু কোনো আসামিই এখন পর্যন্ত আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়নি। তবে তারা জবানবন্দি না দিলেও সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের ক্ষেত্রে প্রভাব পড়বে না।

আর আকবরের রিমান্ডের মাধ্যমে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সকলের গ্রেপ্তারের দাবি জানান আন্দোলনকারীরা। এছাড়া তদন্তে কোনো অবহেলা থাকলে আরও কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন সংগ্রাম পরিষদের নেতারা।

বৃহত্তর আখালিয়া (১২ হামছায়া) সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক সিসিক কাউন্সিলর মখলিসুর রহমান কামরান বলেন, মামলার সুষ্ঠু তদন্ত না হলে দেশবাসীকে নিয়ে আমরা তীব্র আন্দোলন শুরু করবো।

গত ১১ অক্টোবর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে গুরুতর আহত হন রায়হান। তাকে ওইদিন সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন বন্দরবাজার ফাঁড়ির এএসআই আশেকে এলাহীসহ পুলিশ সদসরা। সকাল ৭টা ৫০ মিনিটে হাসপাতালে মারা যান রায়হান।

আরসি-০১