টিউশিন ফি ছাড়া কোন ফি নেওয়া যাবে না

সিলেট মিরর ডেস্ক


নভেম্বর ১৮, ২০২০
০৬:০৪ অপরাহ্ন


আপডেট : নভেম্বর ১৮, ২০২০
০৬:০৪ অপরাহ্ন



টিউশিন ফি ছাড়া কোন ফি নেওয়া যাবে না

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, অধিদপ্তরের আওতাভুক্ত এমপিওভুক্ত ও এমপিওবিহীন প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থীদের থেকে শুধু টিউশন ফি নিতে পারবে (অনলাইন ক্লাস অব্যহত রাখার কারণে)। 

এর বাইরে অ্যাসাইনমেন্ট, টিফিন, পুনভর্তি, গ্রন্থাগার, বিজ্ঞানাগার, ম্যাগাজিন ও উন্নয়ন বাবদ কোনো ফি নিতে পারবে না। 

মহামারীর মধ্যে যেসব অভিভাবকের আয় কমে গেছে বা যারা চাকরি হারিয়েছেন, তাদের সন্তানদের টিউশন ফি আদায়ের ক্ষেত্রে ‘বিশেষ বিবেচনার’ আহ্বান জানিয়েছে মাউশি।

তারা বলে, যদি কোনো অভিভাবক চরম আর্থিক সংকটে পতিত হন, তাহলে তার সন্তানের টিউশন ফির বিষয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ বিশেষ বিবেচনায় নেবেন। কোনো শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন যেন কোনো কারণে ব্যাহত না হয় সে বিষয়টি সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট সকলকে যতœশীল হতে হবে।

মাউশি বলে, আমাদের যেমন অভিভাবকদের অসুবিধার কথা ভাবতে হবে, অন্যদিকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো যেন বন্ধ বা অকার্যকর হয়ে না যায় কিংবা বেতন না পেয়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের জীবন যেন চরম সংকটে পতিত না হয়, সেটাও খেয়াল রাখতে হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে মাউশি বলে, ২০২১ সালের শুরুতে যদি কোভিড-১৯ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয় তাহলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টিফিন, পুনঃভর্তি, গ্রন্থাগার, বিজ্ঞানাগার, ম্যাগাজিন, উন্নয়ন ফির নামে অর্থ নিতে পারবে না।

গত ১৮ মার্চের পর থেকে ইতিমধ্যে টিউশন ফি ছাড়া অন্য কোনো ফি নিয়ে থাকলে তা টিউশন ফির সঙ্গে সমন্বয় করতে বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে। 

এ ছাড়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী বছরের শুরুতে যদি করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয় তাহলে একই নিয়মে শুধু টিউশন ফি নিতে পারবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। আর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আগের নিয়মে সব ফি নিতে পারবে তারা।

মাউশি বলছে, মহামারীর এই সময়ে সংসদ  টেলিভিশনে প্রচারিত ক্লাসের পাশাপাশি বেশিরভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনলাইন ক্লাসের ব্যবস্থা করলেও কিছু প্রতিষ্ঠান তা ‘ভালোভাবে’ করতে পারেনি।

তারা বলে, একইভাবে বেশির ভাগ শিক্ষার্থী এসব অনলাইন ক্লাসে অংশগ্রহণ করতে পেরেছে, কিছু শিক্ষার্থী পারেনি। সার্বিক বিবেচনায় আমাদের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো হঠাৎ করে উদ্ভূত এই পরিস্থিতির সঙ্গে নিজেদের খাপ খাইয়ে নিয়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন অব্যাহত রাখার যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার।

বি এন-১০