‘কোনো অর্বাচীনের কথায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণ বন্ধ হবে না’

সিলেট মিরর ডেস্ক


নভেম্বর ১৯, ২০২০
০২:৩৬ পূর্বাহ্ন


আপডেট : নভেম্বর ১৯, ২০২০
০৩:২১ পূর্বাহ্ন



‘কোনো অর্বাচীনের কথায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণ বন্ধ হবে না’

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘কোনো অর্বাচীনের কথায় ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মাণকাজ বন্ধ করা হবে না। সারা দেশে জাতির জনকের অসংখ্য ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়েছে। পথেঘাটে কে কী বলল তা নিয়ে গুরুত্ব দেওয়ার কোনো কারণ নেই। বর্তমান সরকার যে কথা বলে তা বাস্তবায়ন করার সক্ষমতা নিয়েই বলে’।

বুধবার (১৮ নভেম্বর) শীতলক্ষ্যা নদীতে নোঙর করা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত যুদ্ধজাহাজ এমভি আকরাম সংরক্ষণ নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে মন্ত্রী এসব বলেন।

মুক্তিযুদ্ধে বিধ্বস্ত জাহাজ এমভি আকরাম সংরক্ষণের উদ্যোগ নিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়। মাদারীপুর বিআইডব্লিউটিএর ট্রেনিং সেন্টার কিংবা চাঁদপুর নতুন পোর্টের পাশে জাহাজটি সংরক্ষণ করার কথা জানানো হয়েছে। প্রয়োজনে বিদেশি স্থপতি প্রকৌশলীদের পরামর্শ নেওয়া হবে।

মোজাম্মেল হক বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় নৌ কমান্ডোরা চাঁদপুর এলাকায় মেঘনা নদীতে পাক সেনাদের অস্ত্র মজুতকৃত এমভি আকরাম জাহাজটি ডুবিয়ে দিয়েছিল। এটি মহান মুক্তিযুদ্ধের একটি বড় নিদর্শন। এটি সংরক্ষণ করার জন্য ছয়টি মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি গঠন করে দুটি জায়গার নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। একটি মাদারীপুর বিআইডব্লিউটিএর ট্রেনিং সেন্টারের পাশে এবং অপরটি চাঁদপুর নতুন পোর্টের পাশে। গঠিত কমিটি পর্যালোচনা করে প্রতিবেদন পেশ করার পর যে স্থানটি জনবহুল ও দর্শনীয় বলে বিবেচিত হবে, সেখানে জাহাজটি রেখে সংরক্ষণ করা হবে। এর জন্য যে অর্থ চাহিদা দেওয়া হবে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় সেটি সরকারের কাছে থেকে বরাদ্দ এনে জাহাজটি স্থায়ীভাবে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করবে।

জাহাজটি পরিদর্শনের সময় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন সাবেক নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাউদ্দিন, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সেলিম রেজা ও নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা বারিকসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময় মেঘনা নদীতে নৌ-কমান্ডোরা পাক সেনাদের যুদ্ধজাহাজ এমভি অকরাম ডুবিয়ে দেয়। পরবর্তীতে জাহাজটি সংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহণ করে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়।

বিএ-০৫