ধর্মপাশায় বেহাল সড়ক সংস্কারে নেমে পড়লেন চালকেরা

শামীম আহমেদ, ধর্মপাশা


নভেম্বর ২০, ২০২০
০২:৩৬ পূর্বাহ্ন


আপডেট : নভেম্বর ২০, ২০২০
০২:৪০ পূর্বাহ্ন



ধর্মপাশায় বেহাল সড়ক সংস্কারে নেমে পড়লেন চালকেরা

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সদর ইউনিয়নের উকিলপাড়া থেকে নোয়াবন্দ গ্রামের সম্মুখ পর্যন্ত সড়কটির দূরত্ব প্রায় দুই কিলোমিটার। এই সড়কটির বিভিন্ন অংশে থাকা ছোট-বড় অসংখ্য গর্তে মাটি ভরাট করে স্বেচ্ছাশ্রমে ওই সড়কটির সংস্কারকাজ করেছেন এলাকার বিভিন্ন যানবাহনের চালকেরা।

গতকাল বুধবার (১৮ নভেম্বর) বেলা ৩টা থেকে শুরু করে ওইদিন রাত ১০টা পর্যন্ত তারা স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে সড়ক সংস্কারের এই কাজটি সম্পন্ন করেছেন।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলী, ভুক্তভোগী এলাকাবাসী ও যানবাহনের চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) অধীনে ২০০৪ সালে ধর্মপাশার উকিলপাড়া থেকে নোয়াবন্দ গ্রামের সম্মুখ পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার সড়ক পাকা করা হয়। কিন্তু কয়েকবছর যেতে না যেতেই সড়কটির বিভিন্ন অংশে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়। এ অবস্থায় মানুষ ও যানবাহন চলাচলে নেমে আসে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ। সড়কটির উপর দিয়ে মোটরসাইকেল, রিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ইজিবাইক, ঠেলাগাড়িসহ দৈনিক গড়ে শতাধিক যানবাহন চলাচল করে। সড়কটির বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় এখানকার উকিলপাড়া, নোয়াবন্দ দক্ষিণপাড়া, নোয়াবন্দ, সোনাজানা, মহিষের বাতান, লংকাপাতারিয়া ও দূর্বাকান্দা গ্রামসহ আশপাশের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ ও যান চলাচলে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছিল।

বুধবার বেলা ৩টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত স্থানীয় যানবাহনের চালকেরা ওই সড়কের বিভিন্ন স্থানের গর্তে মাটি ফেলে এর উপর দিয়ে সাময়িকভাবে যান চলাচলের উপযোগী করে তোলেন। 

নোয়াবন্দ গ্রামের অটোরিকশাচালক মিঠুন মিয়া (৩০)বলেন, 'গাড়ি লইয়া সড়কের উফরে দিয়া গেলেই গাড়ির বারোডা বাইজ্যা যায়। সরহারিভাবে কাম না করনের কারণে গত ১০ বছর ধইরা এই দুর্ভোগ পোহাতে অইতাছে। নিরুপায় অইয়া আমরা নিজেরা মিইল্যা কুনুরহমে চলার লাইগ্যা নিজেরাই সড়কের গাতাত মাটি ফালাইয়া গাড়ি  চলনের ব্যবস্থা কইরা লাইছি।'

ধর্মপাশা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম আহম্মেদ বলেন, 'এটি উপজেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। সড়কটির প্রয়োজনীয় সংস্কার ও মেরামতের জন্য আমি উপজেলা প্রকৌশলীর সঙ্গে একাধিবার কথা বলেছি। কিন্ত এখনও এই সমস্যার সমাধান হয়নি।'

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) উপজেলা প্রকৌশলী আরিফ উল্লাহ খান বলেন, 'এই সংস্কার ও মেরামতের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।'

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মুনতাসির হাসা বলেন, 'স্থানীয় বিভিন্ন যানবাহনের চালকেরা স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে সড়ক সংস্কারের যে কাজটি করেছেন তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এটি একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।'

 

এসএ/আরআর-১২