৭০ শতাংশ মানুষ মাস্ক পরলে করোনা রোখা যাবে

সিলেট মিরর ডেস্ক


নভেম্বর ২৫, ২০২০
১০:০১ অপরাহ্ন


আপডেট : নভেম্বর ২৬, ২০২০
০১:৪৫ পূর্বাহ্ন



৭০ শতাংশ মানুষ মাস্ক পরলে করোনা রোখা যাবে

করোনাভা্রাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে ১৪ লাখেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপসহ অনেক দেশে ইতোমধ্যে মহামারিটির দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয়ে গেছে। ফের সংক্রমণ বেড়ে গেলেও টিকা না থাকায় ভাইরাসটিকে রোখা যাচ্ছে না।

ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি টিকার কার্যকারিতা আশার আলো ছড়িয়েছে। তবে টিকা ছাড়াও শুধু মাস্ক ব্যবহারে করোনাকে ঠেকিয়ে দেয়া সম্ভব বলে এক গবেষণায় দেখা গেছে।

অন্তত ৭০ শতাংশ মানুষ নিয়ম মেনে নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার করলে এ মহামারি নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে। ফিজিকস অব ফ্লুইডস জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রবন্ধে বিষয়টি উঠে এসেছে বলে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে।

গবেষণাটির সঙ্গে যুক্ত সিঙ্গাপুর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক সঞ্জয় কুমার বলেন, 'করোনা রুখতে সার্জিক্যাল মাস্ক আদর্শ। এটি ৭০ শতাংশ কার্যকর। তাই ৭০ শতাংশ মানুষও যদি বাইরে বের হয়ে লাগাতার মাস্ক পরে থাকেন, তাহলেই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সফল হওয়া যায়।'

গবেষকদের ভাষ্য, কোনও ব্যক্তি কথা বললে, গান গাইলে, হাঁচলে কিংবা কাশলে অথবা শুধু নিশ্বাস নিলেও সূক্ষাতিসূক্ষ ড্রপলেট মুখ থেকে নির্গত হয়। যা বেশির ভাগ সময়ই চোখে দেখা যায় না। এর মাধ্যমেই ভাইরাস  ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। আর সেই ড্রপলেট আটকাতেই সক্ষম সার্জিক্যাল মাস্ক।

৫-১০ মাইক্রোন ড্রপলেটকে বড় এবং তার চেয়ে কম মাইক্রোনের ড্রপলেটকে ছোট হিসেবে গণ্য করা হয়। কিন্তু বিজ্ঞান বলছে, ছোট ড্রপলেটই বেশি ভয়ংকর। তাহলে কাপড়, সিল্ক কিংবা এন নাইনটি ফাইভ মাস্ক পরলেও কি একইভাবে এই ড্রপলেট রোখা সম্ভব?

গবেষকদের উত্তর, এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকরী সার্জিক্যাল মাস্কই। স্বাস্থ্যকর্মী কিংবা জরুরি সেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের মতো যদি বেশ কয়েক ঘণ্টা টানা এই মাস্ক পরে থাকা যায়, তবেই তার ইতিবাচক ফল মিলবে। এ ছাড়া হাইব্রিড পলিমার দিয়ে তৈরি মাস্কও বেশ কার্যকর বলেই জানাচ্ছে এই গবেষণা।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি ফাইজার ও মডার্নার টিকা, অক্সফোর্ডের টিকা এবং রাশিয়ার টিকা স্পুটনিকের কার্যকারিতা নিয়ে আশাবাদী গবেষকেরা। টিকাগুলোর একেকটি কার্যকারিতা ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত। আগামী বছরের শুরুতে করোনার টিকা মানুষের কাছে পৌঁছে যাবে বলে আশা প্রকাশ করা হচ্ছে।

বিএ-০৬