কমলগঞ্জে দেয়াল ধসে সর্বহারা দুই বিধবা

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি


নভেম্বর ২৬, ২০২০
০৯:২৯ অপরাহ্ন


আপডেট : নভেম্বর ২৬, ২০২০
০৯:২৯ অপরাহ্ন



কমলগঞ্জে দেয়াল ধসে সর্বহারা দুই বিধবা

স্বামী দিনমজুর মো. রাজা মিয়া ১১ বছর আগে মারা গেছেন। তার দুই বিধবা স্ত্রীর তিন ছেলে ও দুই মেয়ে। মৃত রাজা মিয়ার ১ম স্ত্রী জাহানারা বেগম সেলাই মেশিনে কাজ করেন, ২য় স্ত্রী হালিমা বেগম গৃহিণী। তাদের সব সন্তানই বেকার। সেলাই মেশিনে এলাকার মানুষের কাপড় তৈরি করেই সংসার চলছে কোনোরকমে। স্বামীর রেখে যাওয়া মাটির দেয়ালের একটি জরাজীর্ন ঘরে বসবাস করে আসছিলেন এই দুই বিধবা নারী। তাদের জীবন চলে পাড়া-প্রতিবেশীদের কাছে হাত পেতে নেওয়া চাল-ডালে। আসন্ন শীতের এই দিনে মাটির দেয়ালের বাড়িটি ধসে পড়ায় আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন তারা। 

আজ বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) সকালে দেয়াল ধসের এ ঘটনাটি ঘটেছে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ পৌর এলাকার বড়গাছ গ্রামে।

আলাপকালে দুই বিধবা নারী বলেন, দিনমজুর স্বামী ১১ বছর আগে মারা গেছেন। তারা হতদরিদ্র। এমতাবস্থায় পাড়া-প্রতিবেশীদের কাছে হাত পেতে নেওয়া চাল-ডালে খেয়ে না খেয়ে জীবন চলে তাদের। আর সরকারের দেওয়া বিধবা ভাতার টাকায় চলে তাদের ওষুধের খরচ। স্বামীর রেখে যাওয়া মাটির দেয়ালের জরাজীর্ণ বাড়িটিই ছিল তাদের মাথাগোঁজার ঠাই। বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ করে মাটির বাড়িটির দেয়াল ধসে পড়ে। বরাবরের মতো ধসে পড়ার দিনেও তারা ওই বাড়িতেই ছিলেন। ধসে পড়া মাটির ঘরে এখন কীভাবে থাকবেন জানেন না তারা। একটি ঘরের জন্য অনেকবার আবেদন করেও কপালে তা জোটেনি। প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাদের দাবি বসবাসের উপযোগী একটি ঘরের।

স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর জামাল হোসেন বলেন, 'আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের ঘর দেখে এসেছি। তাদের ঘরের জন্য অনেকবার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিসে আবেদন করিয়েছি। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা হয়নি।'

এ বিষয়ে কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জুয়েল আহমেদ বলেন, 'বিধবা নারীদের দেয়ালভাঙা ঘর পরিদর্শন করে এসেছি। সরকারিভাবে যাতে তারা ঘর পান সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'

 

এসডি/আরআর-১৪