সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
নভেম্বর ২৭, ২০২০
১১:৫৩ অপরাহ্ন
আপডেট : নভেম্বর ২৭, ২০২০
১১:৫৩ অপরাহ্ন
২০২০-২০২১ অর্থবছরে সুনামগঞ্জের কর অঞ্চল-১৮ এর আওতায় মনোনীত ব্যক্তিদের সংশ্লিষ্ট থানার প্রতিবেদন নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এ নিয়ে প্রশ্ন উঠায় দ্বিতীয়বার অধিকতর তদন্ত করে আবার প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ। দ্বিতীয় প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে চূড়ান্ত ব্যক্তি শীর্ষ করদাতা হিসেবে মনোনীত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হলেও কিভাবে মামলাধীন ব্যক্তিকে মামলাহীন দেখিয়ে প্রথম প্রতিবেদন দেওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে। তবে দ্বিতীয় প্রতিবেদনে প্রকৃত বিষয় উঠে আসায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন শীর্ষ করদাতারা।
জানা গেছে, সার্কেল ১৮ (সুনামগঞ্জ) কর অঞ্চল থেকে সুনামগঞ্জ জেলার ২০২০-২০২১ অর্থবছরে শীর্ষ দশ করদাতার বিষয়ে মামলাধীন বিষয়ে তথ্য প্রদানের পত্রের আলোকে গত ১২ অক্টোবর স্মারক নম্বর অপরাধ/২০/৩০৪০ স্মারকে কর কমিশনারের কাছে একটি পত্র পাঠায় সুনামগঞ্জের পুলিশ বিভাগ। ওই পত্রে মেসার্স লুৎফুন্নেসা এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী আতিকুর রহমান ও সুনামগঞ্জ শহরের বাঁধনপাড়া আবাসিক এলাকার বাসিন্দা ঠিকাদার নূরুল ইসলামের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই বলে উল্লেখ করা হয়। পত্রে জেলার শীর্ষ করদাতা দশজন ব্যবসায়ীর মামলাধীন বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছিল। তালিকার প্রথম করদাতা আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে দুদকে মামলা এবং দ্বিতীয় করদাতা নূরুল ইসলামের বিরুদ্ধে জিআর মামলা রয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক প্রতিবেদনে এই দুই ব্যবসায়ীর মামলার বিষয়টি বাদ পড়ায় হতাশ হন প্রকৃত ব্যবসায়ীরা। এ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিলে দ্বিতীয়বার তদন্তে নামে সুনামগঞ্জ পুলিশের অপরাধ বিভাগ। গত ২২ নভেম্বর স্মারক নম্বর অপরাধ/২০/৩৪৬৯ পত্রে সংশোধিত তথ্য প্রদান করে কর কমিশনার সিলেট অঞ্চলকে অবহিত করেছে সুনামগঞ্জ পুলিশ বিভাগ। ওই পত্রে প্রথম ও দ্বিতীয় তালিকাভুক্ত দুই ব্যবসায়ীর নামে মামলা রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও জানা গেছে, সরকার নিষ্কন্টক ব্যবসায়ীদের উৎসাহ দিয়ে পুরস্কৃত করতে শীর্ষ করদাতা নির্বাচিত করে। চূড়ান্ত নির্বাচনের আগে মনোনীত ব্যবসায়ীর নামে কোনো মামলা আছে কি না বা তিনি সাজাপ্রাপ্ত কি না তা নিয়ে প্রতিবেদন চায় পুলিশ বিভাগ। পুলিশের নিষ্কন্টক প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতেই মনোনয়ন দেওয়া হয় শীর্ষ করদাতা হিসেবে।
সুনামগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সহিদুর রহমান বলেন, দ্রুততম সময়ে কর কমিশনারের কার্যালয় থেকে প্রতিবেদন চাওয়ায় প্রথম প্রতিবেদনে দুইজন ব্যবসায়ীর মামলার বিষয়টি বাদ পড়েছিল। দ্বিতীয় প্রতিবেদনে আমরা সংশোধন করে দিয়েছি। এতে প্রথম ও দ্বিতীয় ব্যক্তির নামে মামলা রয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছি।
এ ব্যাপারে জানতে সার্কেল-১৮ এর সহকারী কর কমিশনার মোহাম্মদ রুহুল আমিনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। তবে গত ২২ নভেম্বর তার স্বাক্ষরিত পুলিশের দ্বিতীয় সংশোধিত পত্রে তিনি পুলিশের দ্বিতীয় সংশোধনীর বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
এসএস/আরআর-০২