কুলাউড়ায় নিধন হচ্ছে রেলওয়ের শতবর্ষী গাছ

কুলাউড়া প্রতিনিধি


নভেম্বর ২৮, ২০২০
০৯:১৯ অপরাহ্ন


আপডেট : নভেম্বর ২৮, ২০২০
০৯:১৯ অপরাহ্ন



কুলাউড়ায় নিধন হচ্ছে রেলওয়ের শতবর্ষী গাছ

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া রেলওয়ে জংশনের নিকটবর্তী কুলাউড়া-শাহবাজপুর রেললাইনের পাশের শতবর্ষী ২০-২৫টি কেটে বিক্রি করছে রেলওয়ের কর্মকর্তাদের একটি অসাধু চক্র। বিশাল আকৃতির এই গাছগুলোর বাজারমূল্য আনুমানিক দুই লক্ষাধিক টাকা। আর এই গাছগুলো কামাল আহমদ নামের এক ব্যক্তি কিনছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। তবে এসব গাছের ব্যপারে কিছুই জানেন না রেলওয়ে থানার ওসি।

আজ শনিবার (২৮ নভেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কুলাউড়া জংশনের অদূরে (জয়পাশা এলাকায়) রেললাইনের পাশের শতবর্ষী ১০-১২টি রেইনট্রি গাছ কাটছেন ৮-১০ জন শ্রমিক। রেললাইনের পাশে পড়ে আছে ২০-২৫টি গাছের বড় বড় খন্ড। কিন্তু উন্নয়নের নামে গাছগুলো কাটা হলেও দিনশেষে সেগুলো কোথায় যাচ্ছে তা কেউ বলতে পারেননি। ১৪-১৫ দিন আগেও ওই লাইনের উত্তরপাশের বেশ কয়েকটি বড় গাছ কেটে নেওয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে ২০-২৫টি গাছ কেটে নেওয়া হয়েছে, যার আনুমানিক বাজার মূল্য ২ লক্ষাধিক টাকা।

গাছ কাটার কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা জানান, তারা দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে গাছ কাটার কাজ করছেন। স্থানীয় একজন লোক দিনশেষে তাদের মজুরি দেন। কিন্তু তার নাম জানেন না তারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পার্শ্ববর্তী ২-৩ জন বাসিন্দা জানান, গত ১৫ দিন থেকে রেললাইনের পাশের এই গাছগুলো কাটা হচ্ছে। সন্ধ্যার পরে কাটা গাছের খন্ডগুলো গাড়িতে বোঝাই করে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেগুলো কে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে তা তারা বলতে পারেননি।

তারা আরও জানান, রেলওয়ের আইডব্লিউ জুয়েল আহমদের নির্দেশে উত্তরবাজার এলাকার বাসিন্দা কামাল আহমদ এই গাছগুলো কাটাচ্ছেন বলে তারা শুনেছেন। আইডব্লিউ'র সঙ্গে অসাধু আরও কয়েকজন কর্মকর্তা জড়িত রয়েছেন।

এ ব্যাপারে রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন জানান, রেলওয়ের শতবর্ষী গাছগুলো কাটার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। এ বিষয়ে আইডব্লিউকে জিজ্ঞেস করবেন বলে জানান তিনি।

সিলেট-আখাউড়া রেল সেকশনের কুলাউড়া রেলওয়ে জংশনের আইডব্লিউ জুয়েল আহমদ গাছ বিক্রির বিষয়টি অস্বীকার করে জানান, রেললাইনের কাজের স্বার্থে গাছগুলো কাটা হচ্ছে। একটি জায়গায় গাছের সবগুলো খন্ড জমা রাখা হচ্ছে। পরবর্তীতে এগুলো বিক্রি করা হবে। তবে গাছের খন্ডগুলো কোথায় রাখা হচ্ছে এ বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি।

 

জেএইচ/আরআর-১৩