‘আমৃত্যু কারাবাসই যাবজ্জীবন’

সিলেট মিরর ডেস্ক


ডিসেম্বর ০১, ২০২০
০১:১৭ অপরাহ্ন


আপডেট : ডিসেম্বর ০১, ২০২০
০১:১৭ অপরাহ্ন



‘আমৃত্যু কারাবাসই যাবজ্জীবন’

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের ব্যাখ্যা দিয়েছে আপিল বিভাগ। আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, যাবজ্জীবন হবে দণ্ডিতের বাকি জীবন, অর্থাৎ স্বাভাবিক মৃত্যু পর্যন্ত।

তবে ফৌজদারি আইনের বিভিন্ন ধারা বিশ্লেষণ করে আদালত বলেছে, যাবজ্জীবন মানে ৩০ বছর। যদি কোনো আদালত, ট্রাইব্যুনাল, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কোনো আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয় তাহলে তা দণ্ডিতের বাকি জীবন বলে গণ্য হবে। এ ক্ষেত্রে ৩০ বছর কারাদণ্ডের সুবিধা আসামি পাবেন না।

যাবজ্জীবনের সাজা আমৃত্যু কারাদণ্ড নাকি ৩০ বছর, এ সংক্রান্ত রিভিউ আবেদনের শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনসহ সাত বিচারপতির আপিল বেঞ্চ মঙ্গলবার এ রায় দেয়।

রায়ে বলা হয়, যাবজ্জীবন মানে আমৃত্যু কারাদণ্ড অর্থাৎ স্বাভাবিক মৃত্যু পর্যন্ত। তবে বিচারিক (নিম্ন) আদালত যদি ৩০ বছরের সাজা দেন সেক্ষেত্রে ৪৫, ৫৩ এবং ৫৫ ও ৫৭ এই ধারাগুলা একসাথে বিবেচনায় নিতে হবে। কিন্তু ৩০ বছরের সাজার বিষয়টি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারের ক্ষেত্রে কোনো সুবিধা পাবে না।

গত বছরের ১১ এপ্রিল এ মামলায় চারজন এমিকাস কিউরি (আদালতকে আইনি সহায়তাকারী) নিয়োগ দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। পরে তারা তাদের মতামত তুলে ধরেন।

এমিকাস কিউরিরা ছিলেন- সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ, এএফ হাসান আরিফ, আব্দুর রেজাক খান ও সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিন। পরে এ এম আমিন উদ্দিন এটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন।

২০০১ সালে সাভারে জামান নামে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এই হত্যা মামলায় দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে ২০০৩ সালের ১৫ অক্টোবর রায় দেন বিচারিক আদালত। দুই আসামি হলেন- আতাউর মৃধা ও আনোয়ার হোসেন।

বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা হাইকোর্টে আপিল করেন। অন্যদিকে তাদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে শুনানির জন্য ওঠে। শুনানি শেষে ২০০৭ সালের ৩০ অক্টোবর হাইকোর্ট দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় দেন।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধ আসামিরা আপিল বিভাগে আপিল করেন। ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগ রায় দেন। রায়ে দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন দেয়া হয়। একই সঙ্গে আপিল বিভাগ যাবজ্জীবন মানে আমৃত্যু কারাবাসসহ ৭ দফা অভিমত দেন। আপিল বিভাগের ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে আসামি আতাউর মৃধা আবেদন করেন।

বিএ-১০