শ্রীমঙ্গলে আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি


ডিসেম্বর ০৩, ২০২০
০১:০৩ পূর্বাহ্ন


আপডেট : ডিসেম্বর ০৩, ২০২০
০১:০৩ পূর্বাহ্ন



শ্রীমঙ্গলে আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

শ্রীমঙ্গলে এক অসহায় পরিবারের প্রায় আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে। পরিবারটির বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির লোভে একের পর হুমকি, মিথ্যা মামলা, উচ্ছেদ ও জমি দখলের অভিযোগ করা হয়েছে ওই রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে।

শহরের বারিধারা নিবাসী প্রয়াত ডা. কামরুন নাহার পারভিনের মেয়ে আসফিয়া শাহরিন আঁচল আজ বুধবার (২ ডিসেম্বর) শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।

আসফিয়া শাহরিন আঁচল বলেন, ১৯৭৩ সালে আমার মায়ের দাদা আব্দুল আজিজ মারা যাওয়ার সময় ৪৫ একর জমি রেখে যান। এই জমির কিছু অংশ উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তিতে ভাগ বসাতে আবু শহীদ মো. আব্দুল্লাহ, আব্দুছ সালাম,  এফ এম মাহফুজুল হিমেল, আবিদ হোসেন তানভীর, আব্দুল কাইয়ুম নাহিদ, সরওয়ার হোসেন শাওন, মেহতাব হোসেন পাপ্পু গংরা কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। আমার মায়ের মৃত্যুর পর এই সম্পত্তিকে কেন্দ্র করে আমাদের ওপর অত্যাচারের মুখে আমাদের জিম্মি করে ২০১০ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তারা আমাদের প্রায় আড়াই কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।

আশফিয়া শাহরিন আঁচল সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন, আমার এক ছোটভাই ছাড়া আমাদের পরিবারে আর কেউ নেই। আমাদের এই অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে তারা জমি দখল ও আত্মসাতের মতো জঘন্য কাজে লিপ্ত রয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দেলওয়ার হোসেন রাহীদসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবিদ হোসেন তানভীর বলেন, 'আমার বড়ভাই উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দেলওয়ার হোসেন রাহীদ আমাদের পরিবারের বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাৎ করে গা ঢাকা দিয়েছে। আঁচল ভূমি বিক্রয় করলে সে কমিশন পায়। সেই কমিশন খাওয়ার লোভে তারই প্ররোচনায় এই মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন করিয়েছে।'

আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তানভীর বলেন, 'আঁচল আড়াই কোটি টাকা কোথায় পেলেন সেটাই এখন আমার প্রশ্ন।' 

উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবু শহীদ মো. আব্দুল্লাহ বলেন, 'গত ১৬ ফেব্রুয়ারি শ্রীমঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদে এ নিয়ে একটি বৈঠকে ভূমির মূল্য বাবদ আমাদেরকে ৩২ লাখ টাকা দেওয়ার একটি শালিসনামা হয়। কিন্তু আঁচল টাকা না দিয়ে উল্টো আদালতে মামলা করেন।'

 

জিকে/আরআর-০৯