নিজস্ব প্রতিবেদক
ডিসেম্বর ০৭, ২০২০
০৩:০৬ পূর্বাহ্ন
আপডেট : ডিসেম্বর ০৭, ২০২০
০৩:০৬ পূর্বাহ্ন
সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলা বিচারের জন্য সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়েছে।
সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক আবুল কাশেমের আদেশে বিচারের জন্য ধর্ষণ মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়েছে।
গত ৩ ডিসেম্বর ছাত্রলীগকর্মী সাইফুর রহমানকে প্রধান আসামি করে আটজনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে পৃথক দুটি অভিযোগপত্র (চার্জশিট) আদালতে দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক আবুল কাশেমের আদালতে ধর্ষণ এবং চাঁদাবাজি, টাকা ও স্বর্ণ ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় পৃথক দুটি চার্জশিট দাখিল করা হয়। চার্জশিটে ধর্ষণে ছয়জন সরাসরি অংশ নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া ধর্ষণে সহযোগিতার অপরাধে অপর দুজনকে অভিযুক্ত করা হয়।
আদালত সূত্র জানায়, আদালতে পৃথক দুটি চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরান থানার ওসি তদন্ত ইন্দ্রানীল ভট্টাচার্য। এরপর সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক আবুল কাশেম এক আদেশে ধর্ষণ মামলাটি সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করেন। চাঁদাবাজি, টাকা ও স্বর্ণ ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগপত্রের ওপর আগামী ২৮ ডিসেম্বর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে। ওইদিন শুনানি শেষ হলে অভিযোগপত্রটি মহানগর দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তর তরা হবে।
এ বিষয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) অমূল্য কুমার চৌধুরী সিলেট মিররকে বলেন, ‘ধর্ষণ মামলা সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এছাড়া চাঁদাবাজি, টাকা ও স্বর্ণ ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগপত্রের ওপর শুনানি এ মাসে হওয়ার কথা রয়েছে। শুনানি শেষ হলে অভিযোগপত্রটি মহানগর দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তর করা হবে।’
এনএইচ/আরসি-০৮