সিলেট মিরর ডেস্ক
ডিসেম্বর ১৫, ২০২০
০২:১৩ অপরাহ্ন
আপডেট : ডিসেম্বর ১৫, ২০২০
০২:১৩ অপরাহ্ন
দুদিন ধরে দেখা নেই সূর্যের। আজ মঙ্গলবার ভোর থেকে ঘন কুয়াশার সঙ্গে ঝরছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। বইছে হিমেল বাতাস। আগুন জ্বালিয়েও স্বস্তি আসছে না। বাড়ির বাইরে মানুষের আনাগোনা ছিলো কম। জরুরি কাজে ছাতা নিয়ে বের হয়েছেন অনেকে। এমন চিত্র উত্তরাঞ্চলের লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামের। এই দুই এলাকায় গত তিন দিন ধরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের রেকর্ডকিপার সুবল চন্দ্র রায় গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গত তিন দিন ধরে এ অঞ্চলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক পাঁচ থেকে ১৩ দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠা-নামা করছে। দুদিন ধরে সূর্যের দেখা মিলছে না। আজ আবার কুয়াশার সঙ্গে ঝরছে টিপটিপ বৃষ্টি।’
পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র না থাকায় এই দুই অঞ্চলে সব থেকে বেশি বিপাকে পড়েছেন ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার, তিস্তা ও ধরলা নদীর চরাঞ্চলের হাজারো মানুষ।
লালমনিরহাটের সদর উপজেলার ফুলগাছ গ্রামের ভ্যানচালক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘কম্বলের অভাবে ঠান্ডায় কাঁপছি। শীতের দিনে এমনিতেই রোজগার কম হয়। তারপর বৃষ্টির কারণে রাস্তায় লোকজনই নেই।’
লালমনিরহাট এবং কুড়িগ্রাম জেলার ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস সূত্র জানায়, দুই জেলার শীতার্ত মানুষের জন্য এক লাখ ষাট হাজার কম্বলের চাহিদাপত্র সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এর আগে লালমনিরহাটের জন্য ২১ হাজার ৭০০ কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে।
এছাড়াও কম্বল কেনার জন্য ২০ লাখ টাকা ও দুস্থদের জন্য পাঁচ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ এসেছে। কুড়িগ্রামের নয়টি উপজেলার দুস্থদের জন্য ৩৫ হাজার পিস কম্বল ও নগদ ৫৪ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে।
কুড়িগ্রাম জেলার ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুল জাই সরকার বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে দুস্থদের মধ্যে সরকারি বরাদ্দের কম্বল বিতরণ কার্যক্রম চলছে।’
ঠান্ডাজনিত রোগ থেকে বাঁচতে শিশুদের গরম কাপড় পরাতে এবং বয়স্ক মানুষদের ঘরের বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. হাফিজুর রহমান।
আরসি-১১