জগন্নাথপুরে বন্দুকের লাইসেন্স নবায়নে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ

জগন্নাথপুর প্রতিনিধি


ডিসেম্বর ১৫, ২০২০
০৫:৪৮ অপরাহ্ন


আপডেট : ডিসেম্বর ১৫, ২০২০
০৭:১৭ অপরাহ্ন



জগন্নাথপুরে বন্দুকের লাইসেন্স নবায়নে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় বন্দুকের লাইসেন্স নবায়নে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) উপজেলা পরিষদের রাধারমণ দত্ত মিলনায়তনে নবায়ন কার্যক্রম পরিচালনার সময় সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল মান্নান লাইসেন্স প্রতি ১ হাজার ৫০০ টাকা করে অতিরিক্ত আদায় করেন। জেলা প্রশাসকের এলার্ট তহবিলের কথা বলে এ টাকা আদায় করা হয়।

লাইসেন্স নবায়নকারীরা জানান, ২০২১ সালের জন্য জগন্নাথপুর উপজেলার আগ্নেয়াস্ত্র বন্দুকের লাইসেন্স নবায়নের উদ্যোগ নিলে সোমবার জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল মান্নান জগন্নাথপুরে আসেন। নবায়নকারীরা সরকারি ফি ভ্যাটসহ ৭ হাজার ৫০০ টাকা ব্যাংকে জমা দিলেও আরও ১৫০০ টাকা অতিরিক্ত চাওয়া হয়। বাধ্য হয়ে বন্দুক নবায়নকারীরা টাকা দিয়ে নবায়ন করেন।

ইসলামি ব্যাংক জগন্নাথপুর কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করে বলেন, আগে কখনও এভাবে অতিরিক্ত টাকা আমরা বন্দুকের লাইসেন্স নবায়নে দেইনি। এবার বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত দেড় হাজার টাকা দিতে হয়েছে।

বন্দুকের লাইসেন্সধারী এক যুক্তরাজ্য প্রবাসীর নিকটাত্মীয় রুমেন মিয়া বলেন, আমরা বার বার রশিদ দিতে দাবি জানালেও কোনো রশিদ না দিয়ে অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয়।

ঘোষগাঁও গ্রামের বন্দুকের লাইসেন্স নজরুল ইসলাম চাচাতো ভাই আইনজীবী দিল্লুল হক দুলাল বলেন, কোনো ধরণের রশিদ না দিয়েই বাধ্য করে সবার কাছ থেকে দেড় হাজার টাকা করে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হয়। আমরা প্রতিবাদ করলেও কোনো কাজ হয়নি।

এ বিষয়ে জানতে সুনামগঞ্জের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল মান্নানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলেন। আমরা জেলা প্রশাসকের নির্দেশ বাস্তবায়নে কাজ করি।

সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল আহাদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ব্যাংকের বাইরে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের সুযোগ নেই। আমি জরুরি মিটিংয়ে আছি। সব টাকা ব্যাংকে জমা হবে।

 

এএ/বিএন-০৭/আরআর-০৩