বড়লেখায় সংঘর্ষ : পুলিশসহ আহত ১৫, গ্রেপ্তার ২

বড়লেখা প্রতিনিধি


ডিসেম্বর ১৭, ২০২০
০১:০৭ পূর্বাহ্ন


আপডেট : ডিসেম্বর ১৭, ২০২০
০১:০৭ পূর্বাহ্ন



বড়লেখায় সংঘর্ষ : পুলিশসহ আহত ১৫, গ্রেপ্তার ২
১৪৪ ধারা জারি, পুলিশ অ্যাসল্ট মামলা দায়ের

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান হোসেনেকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। এ ঘটনার জের ধরে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পাঁচ পুলিশসহ উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে বড়লেখা পৌরশহরের পাখিয়ালা চৌমুহনীতে এ ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্থানীয় প্রশাসন মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) বেলা ২টা পর্যন্ত ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারা জারি করে।

এদিকে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মঙ্গলবার রাতেই বড়লেখা থানার এসআই নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ৯ জনের নামোল্লেখ ও ১৬০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে থানায় পুলিশ অ্যাসল্ট মামলা করেছেন। এ ঘটনায় পুলিশ বড়লেখা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম ফরহাদ ও তার চাচাতো ভাই রেহান আহমদকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সুন্দরের ভাতিজা।  

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বড়লেখা পৌরসভার আসন্ন নির্বাচনে নৌকার পক্ষে প্রচার শেষে মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে বড়লেখা পৌরশহরের পাখিয়ালা চৌমুহনীতে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান হোসেনের ওপর হামলা চালানো হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম সুন্দরের ভাতিজা ছাত্রলীগ নেতা শিমুল আহমদের নেতৃত্বে এ হামলা হয়। এতে ইমরান হোসেনের হাত কেটে যায়। এদিকে ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান হোসেনের ওপর হামলার খবরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিভিন্ন এলাকা থেকে ছাত্রলীগের কর্মীরা এসে জড়ো হন পাখিয়ালা এলাকায় । এরপর উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। দফায় দফায় রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পুলিশ ২৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। সংঘর্ষে বড়লেখা থানার এসআই নজরুল ইসলাম ও সুব্রত কুমার দাস, এএসআই আব্দুল হালিম, কনস্টেবল মেহেদি হাসান ও তোহেল আহমদ এবং উভয়পক্ষের ১০ জন আহত হন। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নেন।  

বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার বুধবার বিকেল ৪টার দিকে জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। সংঘর্ষে পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ অ্যাসল্ট মামলা হয়েছে। দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।

বড়লেখা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শামীম আল ইমরান বলেন, ‘সংঘর্ষের ঘটনায় শান্তি-শৃঙ্খলা ভঙ্গ হওয়ার আশঙ্কা ছিল। তাই ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস সুষ্ঠুভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে শান্তিপূর্ণ ও সহায়ক পরিবেশ নিশ্চিতে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে বুধবার বেলা ২টা পর্যন্ত উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স থেকে বড়লেখা সরকারি কলেজ পর্যন্ত স্থানজুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছিল। বেলা ২টা পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ ছিল।’

 

এজে/আরআর-১০