শাবিপ্রবিসহ ১৯ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে যে নিয়মে গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা হবে

সিলেট মিরর ডেস্ক


ডিসেম্বর ১৯, ২০২০
১১:৩৩ অপরাহ্ন


আপডেট : ডিসেম্বর ২০, ২০২০
০২:৫১ পূর্বাহ্ন



শাবিপ্রবিসহ ১৯ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে যে নিয়মে গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষা হবে

শাবিপ্রবিসহ বাংলাদেশের ১৯ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার নিয়ম নির্ধারণ করেছে। এ পদ্ধতিতে উচ্চ মাধ্যমিকের পাঠ্যসূচির ওপর ভিত্তি করে প্রণীত প্রশ্নপত্র দিয়ে মানবিক, বাণিজ্য ও বিজ্ঞান তিনটি ইউনিটে গুচ্ছ পদ্ধতিতে সরাসরি ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এতে বিভাগ পরিবর্তনের কোনো সুযোগ থাকছে না। দ্বিতীয়বার পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকলেও শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের চাহিদা অনুসারে ভর্তির সুযোগ থাকছে।

আজ শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মিলনায়তন কেন্দ্রে সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের এক মতবিনিময় সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়। 

বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ (জবি) সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে শুধু ২০১৯ ও ২০২০ সালের উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবে। পরীক্ষায় পাশ ফেল থাকছে না, শূণ্য থেকে ১০০ নম্বর প্রাপ্তদের তালিকা দেওয়া হবে। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিজস্ব চাহিদা অনুযায়ী বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে ভর্তি করতে পারবে। শিক্ষার্থীরা নিজ বিভাগ থেকে পরীক্ষার মাধ্যমেই অন্য বিভাগ পরিবর্তন করতে পারবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সেক্ষেত্রে আসন নির্ধারণ করে রাখবে। 

যেমন মানবিকের কোনো বিভাগে ১০০ আসন থাকলে তার মধ্যে মানবিকের জন্য ৮০, বাণিজ্য ১০ ও বিজ্ঞানের জন্য ১০ আসন অনুপাতে থাকবে। সে ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নির্দিষ্ট বিষয়ে নূন্যতম নম্বর নির্ধারণ থাকবে।

আবেদন যোগ্যতা হিসেবে মানবিক বিভাগের শিার্থীদের জন্য এসএসসি এবং এইচএসসিতে মোট পয়েন্ট ৬, বাণিজ্যে ৬ দশমিক ৫ এবং বিজ্ঞানে ৭ পয়েন্ট থাকতে হবে। সব ক্ষেত্রেই উভয় পরীক্ষায় তিন পয়েন্টের কম থাকতে পারবে না। 

পরীক্ষার মানবণ্টনে, মানবিক শিক্ষার্থীদের বাংলায় ৪০, ইংরেজিতে ৩৫ ও আইসিটি ২৫ নম্বরের পরীা হবে। বাণিজ্যে একাউন্টিং ২৫, বিজনেস অর্গানাইজেশন অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট ২৫, ভাষা জ্ঞান ২৫, বাংলা ১৩, ইংরেজি ১২ ও আইসিটি ২৫ নম্বরের পরীক্ষা। বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে ভাষা ২০, বাংলা ১০, ইংরেজি ১০, রসায়ন ২০, পদার্থ ২০, আইসিটি/ম্যাথ/বায়োলজি এই তিনটি থেকে যেকোনো দুটিতে ২০ করে ৪০ নম্বরের পরীক্ষা হবে।

সভা শেষে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, কমিটি ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীদের একটি স্কোর দেবেন। এ গুচ্ছের অন্তর্ভূক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজ নিজ শর্ত ও চাহিদা উল্লেখ করে শিক্ষার্থী ভর্তি বিষয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশ করবে। স্কোর নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষার্থী ভর্তি করবে। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে অঞ্চলভিত্তিক পরীক্ষা হবে। এক্ষেত্রে ধারণ ক্ষমতার বেশি শিক্ষার্থী আবেদন করলে পরীক্ষার ভেন্যু বাড়ানো যেতে পারে।

গুচ্ছ পদ্ধতির বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

 

এএফ/০৫