কুলাউড়ায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী আটক

কুলাউড়া প্রতিনিধি


ডিসেম্বর ২৩, ২০২০
১২:৩৪ পূর্বাহ্ন


আপডেট : ডিসেম্বর ২৩, ২০২০
১২:৩৪ পূর্বাহ্ন



কুলাউড়ায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামী আটক

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় নিজের স্ত্রীকে 'হত্যার পর বিবস্ত্র মরদেহ ফেলে' পালিয়ে যান স্বামী। ওই ঘটনার পর প্রায় ছয় মাস পালিয়ে থেকেও শেষ রক্ষা হয়নি তার। আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে গতকাল সোমবার (২১ ডিসেম্বর) রাতে ঢাকার গাজীপুর থেকে অভিযুক্ত স্বামীকে আটক করেছে কুলাউড়া থানার পুলিশ। 

জানা যায়, জামালপুরের বকশিগঞ্জ উপজেলার শাহজামাল মিয়ার ছেলে নাঈম মিয়া (২৪) ইকোফুড নামক কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কুলাউড়া পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের শিবির এলাকায় বসবাস করতেন। সেই সুবাদে তার পরিচয় হয় পার্শ্ববর্তী কুলাউড়া গ্রামের মুন্নি আক্তারের সঙ্গে। পরিচয় থেকে সেটি প্রেম-ভালোবাসায় গড়ায়। এরপর চলতি বছরের মে মাসে পরিবারের সম্মতিতে মুন্নিকে বিয়ে করেন নাঈম। বিয়ের দুইমাস পেরোনোর আগেই তাদের দাম্পত্য জীবনে যৌতুক নিয়ে কলহের সৃষ্টি হয়। গত ৮ জুলাই রাতে যৌতুকের বিষয় দু’জনের মধ্যে ঝগড়া শুরু হলে নাইম মিয়া নিজের স্ত্রী মুন্নি আক্তারকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। তীব্র আঘাতে বাম কান দিয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান মুন্নি। এরপর মুন্নিকে বিবস্ত্র করে মরদেহ খাটের উপরে রেখে বাইরে থেকে ঘরের দরজা তালা দিয়ে নাইম মিয়া পালিয়ে যান।

পুলিশ জানায়, ঘটনার পর থেকে মুন্নি হত্যার রহস্য উদঘাটন এবং তার স্বামী নাঈম মিয়াকে আটক করতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায় কুলাউড়া থানার পুলিশ। সর্বশেষ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল) সাদেক কাওসার দস্তগির এবং ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিনয় ভূষন রায়ের দিকনির্দেশনায় তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে পলাতক আসামি নাঈমের অবস্থান নির্ণয় করা হয়। এরপর ১৯ ডিসেম্বর রাতে ওসি (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুর রহিম জিবান ঢাকার গাজীপুর জেলায় অভিযানে যান। টানা ৩ দিন অভিযানের পর ২১ ডিসেম্বর গাজীপুরের বাসন থানার বউ বাজার এলাকা থেকে স্ত্রী হত্যার প্রধান আসামি নাঈম মিয়াকে আটক করা হয়। 

কুলাউড়া থানার ওসি বিনয় ভূষন রায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, স্ত্রী হত্যার প্রধান আসামি নাঈম মিয়াকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

 

জেএইচ/আরআর-০২