সিলেট মিরর ডেস্ক
ডিসেম্বর ৩০, ২০২০
০৯:১৫ অপরাহ্ন
আপডেট : ডিসেম্বর ৩০, ২০২০
০৯:১৫ অপরাহ্ন
ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের মধ্যে সই হওয়া চুক্তি অনুযায়ী ভারত থেকে ৩ কোটি ডোজ টিকা কিনবে বাংলাদেশ সরকার। আর এই তিন কোটির মধ্যে প্রতি মাসেই ৫০ লাখ টিকা দেশে আসবে। এর মধ্যে আগামী বছরের জানুয়ারির শেষ দিকে কিংবা ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দেশে প্রথম দফায় ৫০ লাখ টিকা আসার কথা রয়েছে। আর এই ৫০ লাখ টিকার মধ্যে ২৫ লাখ টিকা মানুষকে দেওয়া হবে।
এই তালিকা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে তৈরি করতে চায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এই কাজে অধিদপ্তরকে সহায়তা করছে সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। তবে এই তালিকা কীভাবে তৈরি হবে বা হচ্ছে তা এখনো সাধারণ মানুষ জানে না।
তবে তিন কোটি ডোজ টিকা শেষে বাংলাদেশ সরকার কার কাছ থেকে এবং কীভাবে পরবর্তীতে টিকা কিনবে তা এখনো নির্ধারিত হয়নি।
এবিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, প্রথম দফায় ৫০ লাখ টিকা আসবে। আর এই ৫০ লাখ টিকার মধ্যে ২৫ লাখ টিকা মানুষকে দেওয়া হবে। এভাবে প্রতিমাসে ৫০ লাখ টিকা আসবে। কারণ তাদের পক্ষে একবারে ৩ কোটি ডোজ টিকা দেওয়া সম্ভব নয়।
প্রথম দফার ২৫ লাখ টিকা কি সাধারণ মানুষকে দেওয়া হবে- এই প্রশ্নের জবাবে মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, সবাইকেই দেওয়া হবে।
৩ কোটি ডোজ টিকা শেষ হলে পরবর্তীতে টিকা কোথা থেকে কেনা হবে এবিষয়ে এখনো কোন কিছু নির্ধারিত হয়নি বলেও জানান তিনি।
ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা আরও জানান, প্রথম দফায় ৩ শতাংশ টিকা আসবে। এরপর থেকে ১৭ শতাংশ করে টিকা আসবে।
এদিকে টিকা দেওয়ার জন্য সুই-সিরিঞ্জ ও অন্যান্য সামগ্রী কেনার কাজ শুরু করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর। আর ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের মধ্যে সই হওয়া চুক্তি অনুযায়ী প্রতি ডোজ টিকার দাম পড়বে ৫ ডলার (৪২৫ টাকা)। চুক্তি স্বাক্ষরের দিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এই কথা জানিয়েছিলেন।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত করোনাভাইরাস টিকার অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাজ্য। টিকাটির উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকা থেকে টিকাটির ১০ কোটি ডোজের ক্রয়াদেশ এরই মধ্যে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্য। বাংলাদেশ সরকার এর আগে ভারতের সেরাম ইন্সটিটিউট থেকে এই টিকাটি আনছে বলে জানিয়েছে।
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার এই টিকাটি ২০২০ সালের প্রথম মাসেই তৈরি করা হয়, এপ্রিলে প্রথমবারের মত কোন স্বেচ্ছাসেবীর ওপর প্রয়োগ করা হয় এবং এরপর হাজার হাজার মানুষের ওপর টিকাটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করা হয়।
এবিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ভ্যাকসিন আনার প্রক্রিয়া মোটামুটি শেষ। ভ্যাকসিন আসার একটা সম্ভাব্য সময় ধরা হয়েছিল জানুয়ারির শেষ অথবা ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। তবে অনুমোদনের প্রক্রিয়া দ্রুত হওয়ায় আরো আগে পাওয়ার আশা করছে সরকার।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাজ্য অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা অনুমোদন দেওয়ায় এখন ভারতও অনুমোদন দিয়ে দেবে। আর হয়ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও অনুমোদন দিয়ে দেবে। সেরাম ইন্সটিটিউট আমাদের যেভাবে বলেছে তাতে আমরা আশা করছি, জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে বা তার আগেও আমরা ভ্যাকসিন পেয়ে যেতে পারি। যেহেতু এর অনুমোদন প্রক্রিয়া খুব তাড়াতাড়ি হচ্ছে।
বিএ-১০