সিলেট মিরর ডেস্ক
জানুয়ারি ০১, ২০২১
০৫:০৭ পূর্বাহ্ন
আপডেট : জানুয়ারি ০১, ২০২১
০৫:০৭ পূর্বাহ্ন
করোনাভাইরাস মহামারি জর্জরিত একটি বছর পাড়ি দিয়ে নতুন প্রত্যাশার নতুন বছর শুরু। নানা সীমাবদ্ধতা, কঠোর নিরাপত্তা ও বিধিনিষিধের মধ্যে ইংরেজি পুরোনো বছরকে বিদায় এবং নতুন বছরকে স্বাগত জানাচ্ছেন দেশবাসী। এবারও রাজধানীতে খোলা স্থানে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান করতে দেওয়া হয়নি। তবে থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপনকে কেন্দ্র করে রাজধানীর অনেক এলাকায় বাসা-বাড়ির ছাদে নানা আয়োজন করে সাধারণ মানুষ। গান-বাজনা বাজিয়ে, আতশবাজি ফুটিয়ে এবং ফানুস উড়িয়ে নতুন বছরের প্রথম প্রহর উদযাপন করছে নগরবাসী।
ইংরেজি বর্ষবরণে হোটেল-রেস্তোরাঁয় সীমিত পরিসরে নানা অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। বৃহস্পতিবার রাতের আকাশে দেখা গেছে আতশবাজির ঝলকানি। থার্টিফার্স্ট নাইটে ঢাকা মহানগরীতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল চোখে পড়ার মতো। কূটনৈতিকপাড়াসহ পুরো গুলশান এলাকায় ছিল বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নতুন বছরকে বরণ করে নিতে সন্ধ্যার পরই রাজধানীর অনেক এলাকার ছাদে প্যান্ডেল ঘিরে গান-বাজনা শুরু করে নগরবাসী। রাত ১২টা ১ মিনিটে শুরু হয় মূল আয়োজন। আতশবাজির ঝলকানিতে রঙিন হয়ে ওঠে রাতের আকাশ। উৎসবমুখর পরিবেশে থার্টিফার্স্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষে নগরবাসীর নিরাপত্তায় সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ ছিল।
সন্ধ্যা থেকেই রাস্তার মোড়ে মোড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে টহল দিতে দেখা গেছে। র্যাবের ডগ স্কোয়াড সন্দেহভাজন গাড়ি তল্লাশি করছে। গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানস্থলে ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ ভবনগুলোতেও আছে পুলিশের নজরদারি। নগরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশের সোয়াট টিম ও বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট আছে। কোনো দুর্ঘটনা এড়াতে ফায়ার টেন্ডার ও অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সন্ধ্যা ৬টার পর বহিরাগতদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। গুলশান ও বনানী এলাকায় রাত ৮টার পর বহিরাগত প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ছিল। বিভিন্ন সড়কে বেপরোয়া গতিতে চলাচলকারী যানবাহন থামিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ ও র্যাব।
রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাতিরঝিলে সংবাদ সম্মেলনে র্যাব মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, নাশকতা মোকবিলায় প্রস্তুত রয়েছে র্যাব। থার্টিফার্স্ট নাইটে সব ধরনের ঝুঁকি পর্যালোচনা করে সারাদেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। কূটনৈতিক এলাকা ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় সাদা পোশাক ও ইউনিফর্মে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে মোটরসাইকেল, সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ বিভিন্ন ধরনের গাড়ি তল্লাশি করা হচ্ছে নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে। বিভিন্ন চেকপোস্টে ডগ স্কোয়াড দিয়েও তল্লাশি চালানো হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, কক্সবাজার, কুয়াকাটাসহ পর্যটন এলাকাগুলোতেও নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
এএফ/০১