সিলেট-করিমগঞ্জ সীমান্তে গোপন সুড়ঙ্গ পথের সন্ধান

সিলেট মিরর ডেস্ক


জানুয়ারি ০২, ২০২১
০৫:৫৫ অপরাহ্ন


আপডেট : জানুয়ারি ০২, ২০২১
০৫:৫৭ অপরাহ্ন



সিলেট-করিমগঞ্জ সীমান্তে গোপন সুড়ঙ্গ পথের সন্ধান

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে প্রায় ২০০ মিটার সুড়ঙ্গের সন্ধান পেয়েছে ভারতীয় পুলিশ। অপহৃত এক ব্যক্তিকে উদ্ধারে নেমে আসামের করিমগঞ্জ জেলার বালিয়া এলাকায় শুক্রবার (১ জানুয়ারি) এ সুড়ঙ্গের খোঁজ পাওয়া গেছে বলে দাবি করা হয়েছে। খবর  আনন্দবাজার পত্রিকার।

প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ‘সুড়ঙ্গপথটি এপারে ভারতের আসাম রাজ্য আর অন্য পাড়ে বাংলাদেশের সিলেট জেলাকে যুক্ত করেছে।’

করিমগঞ্জ জেলা পুলিশের সূত্রে আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, পাচার-অপহরণসহ আন্তর্জাতিক চোরাচালানের কাজে এই সুড়ঙ্গটি ব্যবহার হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত রবিবার নিলামবাজার থানার শিলুয়া গ্রামের বাসিন্দা দিলোয়ার হোসেনকে তুলে নিয়ে যায় দুষ্কৃতকারীরা। পরে তার বাড়িতে ফোন করে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করা হয়। পার্শ্ববর্তী নয়াগ্রামের এলিম উদ্দিনের কাছে মুক্তিপণের টাকা দিতে বলা হয়।

পরে দেখা যায়, বাংলাদেশের একটি নম্বর থেকে ফোন করে বারবার টাকা চাওয়া হয়েছে।

এরপরই দিলোয়ার হোসেনের বড় ভাই ছুটে যান নিলামবাজার থানায়। গত বুধবার অপহরণের অভিযোগ করেন। পুলিশ তদন্ত শুরু করে। দিলোয়ারের পরিবারও পুলিশের পরামর্শে বারবার মুক্তিপণের টাকা কমানোর আবেদন করলেও তাতে সায় দেয়নি অপহরণকারীরা।

অবশেষে তদন্তে নামেন করিমগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার ময়ঙ্ক কুমার ঝাঁ। এর আগেই গ্রেপ্তার করা হয় এলিম উদ্দিনকে। তাকে জেরা করে জানা যায় এ সুড়ঙ্গপথের কথা।

এলিম উদ্দিনের গ্রেপ্তারের খবরটি এপারের দুষ্কৃতকারীদের কানে চলে যাওয়ার পর তারা দেলোয়ারকে ছেড়ে দেয়। পরে দিলোয়ার হোসেন ছাড়া পেয়ে পুলিশকে সব ঘটনা জানান।

জঙ্গলে ২০০ মিটার লম্বা সুড়ঙ্গপথের কথা জেনে পুলিশও তাজ্জব হয়ে যায়। কারণ একেবারে জঙ্গলের মধ্যে অবস্থান ছিল এ সুড়ঙ্গপথের। একটু দূরেই ছিল সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া।

অপহরণের শিকার দিলোয়ার জানিয়েছেন, বাংলাদেশ প্রান্তেও সুরঙ্গটির একই রকম চেহারা। এ পথে দুষ্কৃতকারীরা নিয়মিত যাতায়াত করে। চলে পাচার বাণিজ্যও।

করিমগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার ময়ঙ্ক কুমার ঝাঁ জানান, সুড়ঙ্গটির ভারতের প্রান্তের মুখ বন্ধ করতে বিএসএফকে বলা হয়েছে। তিনি বিএসএফ কমান্ডেন্টের সঙ্গেও যোগাযোগ রেখে চলেছেন।

তিনি আরও জানান, আন্তর্জাতিক অপহরণকারী চক্রের ভারতের প্রান্তের সবাইকে শিগগিরই গ্রেপ্তার করা হবে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

 

এএফ/০৪