অবশেষে জামালগঞ্জে নির্মিত হলো শহীদ সিরাজের স্মৃতিফলক

জামালগঞ্জ প্রতিনিধি


জানুয়ারি ০২, ২০২১
০৮:২২ অপরাহ্ন


আপডেট : জানুয়ারি ০২, ২০২১
০৮:২২ অপরাহ্ন



অবশেষে জামালগঞ্জে নির্মিত হলো শহীদ সিরাজের স্মৃতিফলক

সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলায় শহীদ সিরাজুল ইসলামের নাম সম্বলিত স্মৃতিফলক উন্মোচন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার (২ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সাচনা লামা বাজারস্থ শহীদ বীরবিক্রম সিরাজুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হওয়ার স্থানে নবনির্মিত এ স্মৃতিফলক উন্মোচন করা হয়।

সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আহাদ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ ফলক উন্মোচন করেন। এর মাধ্যমে পূর্বের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী শহীদ সিরাজের নামে স্মৃতিফলক উন্মোচন করে নিজের প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন ঘটালেন বিদায়ী জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আহাদ। এর আগে গত ৩০ ডিসেম্বর দৈনিক সিলেট মিররে 'শহীদ সিরাজের স্মৃতিফলক : মুজিববর্ষেও শেষ হয়নি নির্মাণ কাজ' শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদন প্রকাশের পর গতি বাড়ে স্মৃতিফলক নির্মাণ কাজের।

স্মৃতিফলক উন্মোচন পরবর্তী আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত দেব। উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম রাব্বী জাহানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. জসীম উদ্দিন, উপজেলা চেয়ারম্যান ইকবাল আল আজাদ, ৫ নম্বর সাব-সেক্টরের যুদ্ধকালীন কমান্ডার অ্যাডভোকেট আলী আমজদ, জেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নূরুল মোমেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান, সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার অ্যাডভোকেট আসাদ উল্লাহ সরকার, জেলা মুক্তি সংগ্রাম স্মৃতি ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সালেহ আহমদ, ট্রাস্টের সদস্য হায়দার চৌধুরী লিটন ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম কলমদর ও শহীদ সিরাজের ভাগ্নে লুৎফুর রহমান মাসুম।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম নবী হোসেন, জামালগঞ্জ উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. রজব আলী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কাজী আশরাফুজ্জামান, সাচনা বাজার বণিক কল্যাণ সমিতির একাংশের সভাপতি চিত্ত রঞ্জন পাল ও সাধারণ সম্পাদক আসাদ আল আজাদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্রীকান্ত তালুকদার, আলতাফ হোসেন, নিতাই বণিক, আব্দুর রসিদ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের আহ্বায়ক জালাল মিয়া, সদস্য শাহানা আল আজাদ প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, শহীদ সিরাজুল ইসলাম একজন খাঁটি দেশপ্রেমিক ছিলেন। যুদ্ধকালীন সময়ে বাবার কাছে লেখা চিঠিই তার বড় প্রমাণ। তিনি পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে বুক চিতিয়ে যুদ্ধ করেছেন। এই সাচনা বাজারে যুদ্ধ করতে করতে একপর্যায়ে তিনি শত্রুদলের কয়েকজনকে হত্যা করেন। একসময় একটি গুলি এসে তাঁর বুকে লাগে। পরে আহতাবস্থায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ট্যাকেরঘাট সাব-সেক্টরে। সেখানে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লে তাঁকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়। তাঁর মতো শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও যোদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বের কথা নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতেই এই স্মৃতিফলক নির্মাণ করা হয়েছে।

 

বিআর/আরআর-০৬