একযুগ ধরে ঝুঁকিতে দোয়ারার আমবাড়ি উচ্চবিদ্যালয় ভবন

মুহাম্মদ হাবীবুল্লাহ হেলালী, দোয়ারাবাজার


জানুয়ারি ০৬, ২০২১
০৭:০৯ অপরাহ্ন


আপডেট : জানুয়ারি ০৬, ২০২১
০৭:১০ অপরাহ্ন



একযুগ ধরে ঝুঁকিতে দোয়ারার আমবাড়ি উচ্চবিদ্যালয় ভবন

প্রায় একযুগ ধরেই ঝুঁকিপূর্ণ জরাজীর্ণ ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। ভবনের বিভিন্ন জয়েন্টে ফাটল ধরাসহ পলেস্তারা উঠে গেছে। ক্লাস চলাকালীন সময়ে পলেস্তারা খসে পড়ে যায় বলে দাবি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের। দীর্ঘদিন ধরে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার আমবাড়ি উচ্চবিদ্যালয়ে এ অবস্থার মধ্যে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা। শুধু তাই নয়, সামান্য বৃষ্টি হলেই বিদ্যালয়ের ফ্লোর পানিতে ডুবে যায়। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বার বার জানালেও সংশ্লিষ্টরা কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না।

করোনাকালীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে পুনরায় স্কুল কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। ফলে আবারও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের ক্লাস করতে হবে। এ বিদ্যালয়ে বিকল্প ভবনে পাঠদানের কোনো সুযোগ নেই।

জানা গেছে, উপজেলার আমবাড়ি উচ্চবিদ্যালয়টি ১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ওই বছর ৬ কক্ষ বিশিষ্ট ভবনটি নির্মাণ করা হয়। এ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত ১ হাজার ২শ ৫৮ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। ভবনের ঢালাই ভেঙে গিয়ে বিভিন্ন স্থানে রড বের হয়ে গেছে। বর্তমানে ভবনের প্রায় প্রতিটি জয়েন্টে ফাটল দেখা দিয়েছে। যেকোনো সময় ভবনটি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুজ্জামান আহাম্মদ বলেন, 'বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনের ছাদ, পিলার ও ভীম ফেটে গেছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অষ্টম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠদান করানো হচ্ছে। ক্লাস চলাকালে অনেকসময় পলেস্তারা খসে পড়ে। তাই আতঙ্কের মধ্য দিয়ে ক্লাস চলে।'

বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আবদুর রশীদ বলেন, 'বিদ্যালয়ের বহু পুরনো ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে। যেকোনো সময় ছাদ ভেঙে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটে প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে। অতি দ্রুত ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে নতুন ভবন নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।'

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজাদুর রহমান আজাদ বলেন, 'নতুন ভবনের জন্য আমি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবহিত করব।'

 

এইচএইচ/আরআর-০১