ধর্মপাশায় বিলম্বিত বাঁধের কাজ, দুশ্চিন্তায় কৃষকরা

শামীম আহমদ, ধর্মপাশা


জানুয়ারি ০৬, ২০২১
০৮:১১ অপরাহ্ন


আপডেট : জানুয়ারি ০৬, ২০২১
১১:৫৭ অপরাহ্ন



ধর্মপাশায় বিলম্বিত বাঁধের কাজ, দুশ্চিন্তায় কৃষকরা

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ যথাসময়ে শুরু করা হয়নি। এ উপজেলার ৮টি হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের সম্ভাব্য ১৭০টি প্রকল্পের মধ্যে একটিমাত্র প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়েছে। ফসলরক্ষা বাঁধের কাজে নিয়োজিত সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, হাওর থেকে দেরিতে পানি নামার কারণে বাঁধের জরিপ, প্রাক্কলন তৈরি ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠনের কাজ অনেকটা পিছিয়েছে। এতে করে বোরো ফসলরক্ষা নিয়ে এখানকার কৃষকরা স্বস্তিতে নেই। বাঁধের কাজ দেরিতে শুরু করায় এ নিয়ে কৃষকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও হতাশা দেখা দিয়েছে।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড ও উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলার চন্দ্র সেনার থাল, সোনামড়ল, ধানকুনিয়া, ঘোড়াডোবা, জয়ধনা, কাইলানী, গুরমা ও গুরমার বর্ধিতাংশ এই ৮টি হাওর সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) অধীনে রয়েছে। পাউবো'র নীতিমালা অনুযায়ী, গত বছরের ৩০ নভেম্বরের মধ্যে ফসলরক্ষা বাঁধের জরিপ কাজ, প্রাক্কলন  তৈরি ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি) গঠন করার সর্বশেষ সময়সমীমা ছিল। গত ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ শুরু করে তা চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ করার কথা রয়েছে।

গত ১৬ ডিসেম্বর উপজেলার ধানকুনিয়া হাওরের নূরপুর ফসলরক্ষা বাঁধে মাটি ফেলার মধ্য দিয়ে এ উপজেলায় হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজের উদ্বোধন করা হয়। হাওর থেকে দেরিতে পানি নামার কারণে বাঁধের জরিপ, প্রাক্কলন তৈরি  ও পিআইসি গঠনের কাজ পিছিয়ে পড়ছে বলে জানিয়েছেন পাউবো সংশ্লিষ্টরা।

হাওরপাড়ের কয়েকজন কৃষক জানিয়েছেন, এ উপজেলায় হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ দেরিতে শুরু করার বিষয়টি নতুন কিছু নয়। কোনো না কোনো অজুহাতে প্রতিবছরই বাঁধের কাজ পেছানো হয়। আর এ কারণে মাঝে-মধ্যে ফসলডুবির ঘটনাও ঘটে। তাই হাওরের ফসলরক্ষায় দ্রুত বাঁধের কাজ শুরু করে তা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করার দাবি জানান তারা।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী এবং উপজেলা কাবিটা প্রকল্প বাস্তবায়ন ও পর্যবেক্ষণ কমিটির সদস্য সচিব মো. ইমরান হোসেন বলেন, 'অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার হাওর থেকে দেরিতে পানি নেমেছে। তাই জরিপ, প্রাক্কলন তৈরিসহ সব কাজ পিছিয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পিআইসি গঠনসহ অন্যান্য কাজ শেষ করে পুরোদমে বাঁধের কাজ শুরু করা সম্ভব হবে বলে আশা করছি।'

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মুনতাসির হাসান মুঠোফোনে বলেন, 'আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এ উপজেলায় হাওরের ফসলরক্ষা বাঁধের যাবতীয় কাজ শেষ করার জন্য উপজেলা প্রশাসন থেকে সবরকম প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।'

 

এসএ/আরআর-০৪