সিলেট মিরর ডেস্ক
জানুয়ারি ০৯, ২০২১
০২:৩৫ অপরাহ্ন
আপডেট : জানুয়ারি ০৯, ২০২১
০২:৩৫ অপরাহ্ন
কুষ্টিয়ায় গ্রামের বাড়িতে দাদা-দাদির কবরের পাশে শায়িত হলেন রাজধানীর কলাবাগানে বন্ধুর বাসায় গিয়ে বিকৃত যৌনাচারের শিকার নিহত হওয়া স্কুলছাত্রী আনুশকা নুর আমিন।
শনিবার (৯ জানুয়ারি) সকালে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কমলাপুরের গোপালপুর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে সকাল ৭টা ৫ মিনিটের দিকে গোপালপুর ঈদগাহ মাঠে তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। রাত ১টার দিকে আনুশকার লাশ ঢাকা থেকে নিজ বাড়িতে পৌঁছে।
ভোর থেকেই শত শত মানুষ তাকে শেষবার দেখতে ভিড় করেন। নিকটজন আত্মীয় স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। বারবার মুর্ছা যাচ্ছিলেন বাবা আল আমিন আহম্মেদ। পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
নামাজে জানাজাতে অংশ নিয়ে মানুষ এই হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। দাফন শেষে তাৎক্ষণিকভাবে হত্যাকারীর দ্রুত দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তি ফাসিঁর দাবিতে মানববন্ধন করে তারা।
কুষ্টিয়ার কমলাপুর বাজারে সড়কের দুই পাশে দাঁড়িয়ে শত শত মানুষ এই মানববন্ধনে অংশ নেয়।
মানববন্ধনে স্কুলছাত্রীর বাবা আল আমিন আহম্মেদ, ছোট ভাই নিভানসহ আত্মীয় স্বজনরাও উপস্থিত ছিলেন। এমন ঘটনা যেন আর কারো সাথে না ঘটে, সেজন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা।
এছাড়াও মামলায় ও সুরোতহাল রিপোর্টে আনুশকার বয়স দুই বছর বাড়ানো হয়েছে দাবি করে এর প্রতিবাদও জানান তারা।
উল্লেখ্য, আনুশকা তার তিন ভাইবোন ও বাবা-মা'র সাথে ধানমন্ডিতে থাকতেন। আনুশকা মাস্টারমাইন্ড স্কুলে 'ও' লেভেল পড়তেন।
৭ জানুয়ারি দুপুর ১২টার দিকে আনুশকাকে প্রেমে প্রলুব্ধ করে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে কৌশলে বাসায় নিয়ে যায় তার বন্ধু তানভীর ইফতেফার দিহান।
সেখানে বিকৃত যৌনাচারে তার রক্তক্ষরণ হলে হাসপাতালে নেয় দিহান। হাসপাতালে আনুশকার মৃত্যু হয়।
বি এন-০৩