বাঁধের পিআইসি গঠনে অনিয়মের অভিযোগ উপজেলা চেয়ারম্যানদের

শাল্লা প্রতিনিধি


জানুয়ারি ১৮, ২০২১
০৯:০০ অপরাহ্ন


আপডেট : জানুয়ারি ১৮, ২০২১
০৯:০০ অপরাহ্ন



বাঁধের পিআইসি গঠনে অনিয়মের অভিযোগ উপজেলা চেয়ারম্যানদের

সুনামগঞ্জের সকল উপজেলায় হাওররক্ষা বাঁধের পিআইসি গঠনে অনিয়ম হচ্ছে। করোনাকালে সরকারের বিশেষ বরাদ্দের টাকারও কোনো হিসাব নেই। উপজেলা পরিষদের রাজস্ব জমা-বিভাজন ব্যয় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের অনুমোদনক্রমে হয় না। এ অবস্থা চলতে দেওয়া যায় না। এসব অনিয়ম এবং নিয়ম বহির্ভুত কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে। এসব অভিযোগ এনে এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানরা। 

রবিবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ উপজেলা পরিষদ এসোসিয়েশন সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সংগঠনের দায়িত্বশীলরা। সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের ৫ দফা দাবি বাস্তবায়নেরও দাবি জানানো হয়।

বলা হয়, জেলার সবক'টি বড় হাওরে হাওররক্ষা বাঁধের কাজের জন্য পিআইসি গঠনে অনিয়মের সংবাদ গণমাধ্যমে ছাপা হচ্ছে। তাতে আমরা বিব্রত হই, কিন্তু আমরা এর কিছুই জানি না। পিআইসি গঠনের ক্ষেত্রে আমাদের সম্পৃক্ত করা হচ্ছে না। বাঁধে কোনো অনিয়ম হলে আমরা এর দায় বহন করব না। প্রতিবছরই দেখা যায় বাঁধের টাকা ব্যয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাব থাকে, এবারও তাই হচ্ছে।

গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ বলেন, করোনাকালে সরকারের দেওয়া বিশেষ সহায়তার টাকার কোনো হিসাব আমরা জানি না। আমাদেরকে উপহাস করার মতো কিছু মাস্ক বিতরণের জন্য তুলে দেওয়া হয়েছিল।

সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের জেলা সভাপতি করুণা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল এসোসিয়েশনের ৫ দফা দাবি তুলে ধরে বলেন, উপজেলা পরিষদের নিকট আইনের তৃতীয় তফসিল অনুযায়ী হস্তান্তরিত ১৭টি বিভাগের কার্যক্রম উপজেলা পরিষদের মাধ্যমে পরিচালিত হতে হবে, মন্ত্রণালয় কর্তৃক সংবিধান ও আইন বহির্ভুত ইনডেমনিটির ন্যায় জারিকৃত পরিপত্রসমূহ অবিলম্বে সংশোধন করতে হবে, সকল আনুষ্ঠানিকতায় আইন বহির্ভুতভাবে উপজেলা প্রশাসন ব্যবহার না করে উপজেলা পরিষদ ব্যবহার কার্যকর করতে হবে। এসব দাবি বাস্তবায়নের জন্য আগামী ২৭ জানুয়ারি সংগঠনের উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সিলেট বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছাতক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান, দিরাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম চৌধুরী, শাল্লা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল আমিন চৌধুরী, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ, দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. আব্দুর রহিম, জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, জামালগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইকবাল আল আজাদ, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সফর উদ্দিন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নুর হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নিগার সুলতানা কেয়া, ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবুল হোসেন, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান তাজ্জদ আলী খান, দোয়ারাবাজার উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, নারী ভাইস চেয়ারম্যান সালেহা বেগম, তাহিরপুর উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা বেগম, ছাতক উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবু সাদাত মো. লাহিন মিয়া, নারী ভাইস চেয়ারম্যান লিলি বেগম, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান দুলন রাণী তালুকদার প্রমুখ।

 

এএইচ/আরআর-০৯