চলে গেলেন ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হাশিম

জগন্নাথপুর প্রতিনিধি


জানুয়ারি ১৮, ২০২১
০৯:১৫ অপরাহ্ন


আপডেট : জানুয়ারি ১৮, ২০২১
০৯:১৫ অপরাহ্ন



চলে গেলেন ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হাশিম

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল হাশিম (৬০) আর নেই। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে ও দুই মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।

গতকাল রবিবার (১৭ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১১টার দিকে বুকে ব্যথা অনুভব হলে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত দেড়টায় চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আজ সোমবার (১৮ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় কামারখাল গ্রামের মাঠে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।

এই জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধির আকস্মিক মৃত্যুতে জগন্নাথপুরে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। রবিবার রাতে মরদেহ নিজ জন্মভিটা কামারখাল গ্রামে এসে পৌঁছালে সেখানে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা ঘটে। শেষবারের মতো তাকে এক নজর দেখতে শোকাহত মানুষের ঢল নামে।

সোমবার বিকেল ৩টায় কামাল গ্রামের মাঠে জানাজার নামাজের পূর্বে মরহুমের স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য দেন, জগন্নাথপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইয়াসির আরাফাত, দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা পরিষদেরচলে গেলেন ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হাশিম সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কালাম, কলকলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, মরহুমের ছেলে মোজ্জাম্মেল হোসেন, পাটলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সিরাজুল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বকুল, উপজলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক লুৎফুর রহমান, আশারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ আবু ইমানি, ভাতগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওলাদ হোসেন, সাবেক চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিন, কলকলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ফখরুল হোসন প্রমুখ। 

জানা গেছে, স্বাধীনতার পূর্বে আব্দুল হাশিম নিজের ছোটবেলা যুক্তরাজ্যে চলে যান। প্রবাসে বসবাস করলেও নাড়ির টানে দেশেই আর্থসমাজিক উন্নয়নে সক্রিয় ছিলেন তিনি। ২০০৩ সালে তিনি কলকলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০১১ সালে তিনি নির্বাচনে প্রতিন্দ্বিতা করলে ওই সময় সাজ্জাদুর রহমানের নিকট পরাজিত হন। ২০১৬ সালের ইউপি নির্বাচনে ফের তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে দায়িত্বপালন করে আসছিলেন। ইউনিয়নের উন্নয়নে তার অবদান নাগরিকরা দীর্ঘদিন মনে রাখবে। অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে স্পষ্টভাষী চেয়ারম্যান আবদুল হাশিম একজন জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি হিসেবে সুপরিচিত ছিলেন। আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গেও তিনি সক্রিয় ছিলেন। প্রয়াতের একমাত্র ছেলে মোজাম্মেল হোসেন ছাড়া স্ত্রী ও অন্য ছেলে-মেয়েরা লন্ডনে অবস্থান করছেন।

আরও জানা গেছে, গত জুলাই মাসে তিনি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। পরে সুস্থ হয়ে লন্ডনে চলে যান। গত ১৫ দিন আগে ছেলে মোজাম্মেলকে নিয়ে দেশে ফিরেছিলেন তিনি। 

আব্দুল হাশিমের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সাংসদ মতিউর রহমান, জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান বিজন কুমার দেব, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মুক্তাদীর আহমেদ মুক্তা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আকমল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিজু, জগন্নাথপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শংকর রায়, সহ-সভাপতি তাজ উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার হাসান সুনু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অমিত দেব, কোষাধ্যক্ষ আবদুল হাই, পরিষদ সদস্য ও কালের কন্ঠ পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি আলী আহমদ, পাটলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল হক, মীরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক শেরিন, চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরশ মিয়া, রানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম রানা, সৈয়দপুর শাহারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তৈয়ব মিয়া, পাইলগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মখলিছুর রহমান, আশারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ আবু ঈমানী, উপজেলা শ্রমিকলীগের আহ্বায়ক নুরুল হক, কলকলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ফখরুল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক বশির আহমেদ। তারা সবাই শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

 

এএ/আরআর-১০