শিল্প কারখানা না থাকায় সিলেটে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে না

নিজস্ব প্রতিবেদক


জানুয়ারি ২৩, ২০২১
০১:২২ অপরাহ্ন


আপডেট : জানুয়ারি ২৩, ২০২১
০১:২৪ অপরাহ্ন



শিল্প কারখানা না থাকায় সিলেটে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে না
কিশোর অপরাধের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান, ৩১ জানুয়ারির মধ্যে অটোরিকশায় গ্রিল না লাগালে অ্যাকশন

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এমপি বলেছেন, ‘সিলেটে শিল্প কারখানা না থাকায় কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে না। এতে বেকারত্ব বাড়ছে। শিল্প কারখানা গড়ে তোলার ব্যাপারে প্রবাসী ও দেশে অবস্থানরত বিত্তবানদের এগিয়ে আসা জরুরি।'

মন্ত্রী শুক্রবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সিলেটের সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন। ড. মোমেন জানান, সিলেটে কলকারখানা গড়ে তোলার ব্যাপারে তিনি বিভিন্ন শিল্প মালিক ও গ্রুপের সঙ্গে আলোচনা করছেন। দেশি-বিদেশি কয়েকটি গ্রুপ বিনিয়োগের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তারা সিলেটে জমি খোঁজছে।

মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী বিভিন্ন পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের মতামত ও দাবি নিয়ে আলোচনাও করেন তিনি। স্থানীয় সরকার বিভাগ সিলেটের পরিচালক মীর মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমদ, সহ-সভাপতি, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, সিলেট চেম্বারের সভাপতি এটিএম শোয়েব, উইমেন চেম্বারের সভাপতি স্বর্ণলতা রায়, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ এপতার হোসেন পিয়ার, সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার পরিতোষ ঘোষ, সড়ক ও জনপথ সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী, ফায়ার সার্ভিস এর সহকারী পরিচালক, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আল আজাদ, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার সিলেট ব্যুরো প্রধান মকসুদ আহমদ মকসুদ, ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের আবু সরকার ও গোলাম হাদি ছয়ফুল প্রমুখ।

বক্তারা নগরের ভেতর দিয়ে রাত ১১টার আগে ট্রাক চলাচল বন্ধের জোর দাবি জানান। তবে, এসএমপি’র অতিরিক্ত কমিশনার পরিতোষ ঘোষ জানান, রাত ১০ টার পরে পাথর বোঝাই ট্রাক ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, জননিরাপত্তার স্বার্থে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় গ্রিল লাগানোর নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ কমিশনার। কিন্তু, এ ব্যাপারে বেশ কয়েক দফা সুযোগ নিয়েছেন চালক-মালিকরা। ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত তাদেরকে সময় দেওয়া হয়েছে। এরপর আর ছাড় দেওয়া হবে না। নম্বরপ্লেটবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে পুলিশের অ্যাকশন শুরু হয়েছে। অবৈধ গাড়ি স্ট্যান্ড সরাতেও পুলিশ কাজ করছে। এসব বিষয়ে মন্ত্রী পুলিশের সঙ্গে একমত পোষণ করেন। মন্ত্রী সিলেট নগরের আইনশৃংখলা পরিস্থিতেও সন্তোষ প্রকাশ করে এসএমপিকে ধন্যবাদ জানান।

সিলেটের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা বিষয়েও বক্তারা কথা বলেন। বিশেষ করে আম্বরখানা-কুমারগাঁও সড়কের বেহাল দশায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেকে। এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নবাগত প্রকৌশলী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দেন।

সিলেট মহানগরে কিশোর গ্যাঙ এর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানালে এসএমপি কর্মকর্তা বলেন, কিশোর অপরাধ রোধে এসএমপি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে। কিশোর অপরাধীদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। বয়স কম থাকায় তাদের অভিভাবকের কাছ থেকে অঙ্গিকারনামা নেওয়া হচ্ছে। এরপরও না শোধরালে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ট্রাক শ্রমিকদের পক্ষ থেকে শাহপরাণ ব্রিজের টোল প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়। শ্রমিক নেতারা বলেন, শাহপরান ব্রিজের টোল বাদ দিলে চালকদের ৩০০ টাকা খরচ বাঁচবে। এতে তারা শহরের ভেতরে প্রবেশ না করে শাহপরান বাইপাস হয়ে সিলেট ছাড়তে উৎসাহিত হবে।

আরসি-০৮