নিজস্ব প্রতিবেদক
জানুয়ারি ২৪, ২০২১
০২:৪১ পূর্বাহ্ন
আপডেট : জানুয়ারি ২৪, ২০২১
০২:৪১ পূর্বাহ্ন
সিলেট শহরতলীর খাদিম এলাকায় নাঈম হত্যা মামলায় প্রিন্স হিমেল ও মোহাম্মদ অলি আহমদ নামের দুই আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। একটি মোবাইল ফোন নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে ছুরি দিয়ে নাঈমকে তারা হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেছেন।
পুলিশ ও আদালতসূত্রে জানা যায়, গতকাল শনিবার সকালে মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন খানম নীলার আদালতে আসামিরা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রিপটন পুরকায়স্থ তাদের আদালতে নিয়ে আসেন। এ সময় দুই আসামি ছাড়া দুই প্রত্যক্ষদর্শীও আদালতে জবানবন্দি প্রদান করেন। এ সময় আসামিরা হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দিতে জানান, ঘটনাস্থলে তারা দুইজনসহ মামলার এজহারনামীয় অন্য আসামিরা ছিলেন। তাদের সঙ্গে নাঈমও ছিল। একটি মোবাইল সংক্রান্ত বিষয়ে কথাকাটাকাটি ও হাতাহাতির এক পর্যায়ে ছুরিকাঘাত করে নাঈমকে হত্যা করা হয়। পরে লাশ ফেলে তারা ওই স্থান ত্যাগ করেন। এর আগে গত শুক্রবার রাতে হিমেলকে নগরের বালুচর এলাকা থেকে এবং অলিকে গোলাপগঞ্জ উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) বিএম আশরাফ উল্ল্যাহ তাহের সিলেট মিররকে বলেন, ‘নাঈম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার প্রিন্স হিমেল ও মোহাম্মদ অলি আহমদ গতকাল শনিবার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছেন। এখন পর্যন্ত মামলায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, গত ১৮ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাতটায় বিএডিসি কৃষি গবেষণা খামারের ভেতরে সুইস সংলগ্ন হাটার রাস্তার পাশ থেকে নিহত নাঈম আহমদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত নাঈমের মা বাদী হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৪-৫ জনকে অজ্ঞাত রেখে মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন, মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার পুরানবাড়ী এলাকার বাবুল মিয়ার ছেলে সৈয়দ জিশান আহমেদ রাব্বি; যিনি বর্তমানে শাহপরাণ থানাধীন বিআইডিসি সংলগ্ন বহর এলাকার বাসিন্দা। শাহপরাণ থানাধীন খাদিমপাড়া এলাকার মৃত ইউনুস আলীর ছেলে জুনেদ এবং গোয়াইনঘাট উপজেলার বড়নগর গুল্লি চা বাগান এলাকার দিলাল মিয়ার ছেলে দেলোয়ার হোসেন সবুজ।
পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছিল, ১৮ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) বেলা দেড়টা-দুইটার দিকে নিহত নাঈমের বন্ধু সবুজ এবং রাব্বি জন্মদিনের দাওয়াত খাওয়ার জন্য ফোন করে। একাধিকবার ফোন পাওয়ার পর নিহত নাঈম দ্রুত ঘর হতে বের হয়ে যায়। বিএডিসি কৃষি খামারে যাওয়ার পথে সেখানে থাকা নিরাপত্তা প্রহরী চারজনকে খামারের ভেতরে যেতে দেখেন। তিনি তাদেরকে ভেতরে যেতে নিষেধও করেন। তারা নিষেধ উপেক্ষা করে খামারের ভেতরে নির্জন এলাকায় যান।
নাঈমের মামা মো. আলাউদ্দিনের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, রাব্বি ও সবুজ মাদক সেবনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। তারা নাঈমকে ঘর থেকে ফোন করে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল।
আরসি-০৩