উইঘুর নারীদের গণধর্ষণের খবরে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ

সিলেট মিরর ডেস্ক


ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২১
০৪:৪২ অপরাহ্ন


আপডেট : ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০২১
০৪:৪৬ অপরাহ্ন



উইঘুর নারীদের গণধর্ষণের খবরে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ

চীনের শিনজিয়াংয়ে উইঘুর ও অন্যান্য সম্প্রদায়ের মুসলিমদের জন্য বানানো অন্তরীণ শিবিরগুলোতে নারীরা ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন এমন খবরে ‘গভীরভাবে উদ্বিগ্ন’ হওয়ার কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। 

বিবিসির এক প্রতিবেদনে ভুক্তভোগী ও এক নিরাপত্তারক্ষীর বরাতে শিনজিয়াংয়ের ‘বন্দিশিবিরগুলোতে’ নারীরা ধারাবাহিক ধর্ষণ, যৌন হয়রানি ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করা হয়। ‘একসময় বন্দি হিসেবে থাকা কয়েকজন ও একজন নিরাপত্তারক্ষী বিবিসিকে ক্যাম্পে সংগঠিতভাবে দলবদ্ধ ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন ও নির্যাতনের প্রমাণ দেখা কিংবা এ সংক্রান্ত অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন,’ বলা হয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে।

এই নারীদের একজন হচ্ছেন তুরসুনে জিয়াউদুন। বিবিসিকে দেয়া তার এই বর্ণনা কোন কোন পাঠককে বিচলিত করতে পারে। ‘তখন কোন মহামারি চলছিল না কিন্তু ওই লোকগুলো সবসময়ই মুখোশ পরে থাকতো’ - বলছিলেন তুরসুনে জিয়াউদুন।

‘তারা স্যুট পরতো, পুলিশের পোশাক নয়। কখনো কখনো তারা আসতো মধ্যরাতের পরে। সেলের মধ্যে এসে তারা ইচ্ছেমত কোন একজন নারীকে বেছে নিতো। তাদের নিয়ে যাওয়া হতো করিডোরের আরেক মাথায় 'কালো ঘর' বলে একটি কক্ষে। ওই ঘরটিতে নজরদারির জন্য কোন ক্যামেরা ছিল না।’

জিয়াউদুন বলেন, বেশ কয়েক রাতে তাকে এভাবেই নিয়ে গিয়েছিল ওরা। ‘হয়তো এটি আমার জীবনে এমন এক কলঙ্ক - যা আমি কখনো ভুলতে পারবো না’- বলছিলেন তিনি।

‘এসব কথা আমার মুখ দিয়ে বের হোক - এটাও আমি কখনো চাইনি।’ শিনজিয়াং প্রদেশে চীনের এইসব গোপন বন্দীশিবিরের একটিতে তুরসুনে জিয়াউদুন বাস করেছেন মোট ৯ মাস। শিনজিয়াং প্রদেশের ওই এলাকাটি কাজাথাস্তান সীমান্তের পাশেই এবং সেখানে বহু জাতিগতভাবে কাজাখ লোকও বাস করে। জিয়াউদুনের বয়স ৪২ । তার স্বামীও একজন কাজাখ।

২০১৬ সালে তারা কাজাখস্তানে পাঁচ বছর থাকার পর শিনজিয়াং ফিরে গেলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, পাসপোর্ট জব্দ করা হয়। কয়েকমাস পরে পুলিশ তাদের বলে যে তাদেরকে উইঘুর ও কাজাখদের একটি সভায় যোগ দিতে হবে। সেখানেই তাদের গ্রেফতার ও বন্দী করা হয়।

চীন তাদের বিরুদ্ধে শিনজিয়াংয়ে নিপীড়নের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। ওই অঞ্চলে বানানো শিবিরগুলোতে ইসলামী উগ্রবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদ মোকাবেলার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করছে তারা।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বিবিসির প্রতিবেদনকে ‘পুরোপুরি ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে যাদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে, তারা যে মিথ্যা তথ্য ছড়ান সে বিষয়টি একাধিকবার প্রমাণিত হয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।

বি এন-২