জগন্নাথপুরে প্রথম দিনে করোনার টিকা নিলেন ৬০ জন

জগন্নাথপুর প্রতিনিধি


ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২১
১০:৩৭ অপরাহ্ন


আপডেট : ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০২১
১০:৫০ অপরাহ্ন



জগন্নাথপুরে প্রথম দিনে করোনার টিকা নিলেন ৬০ জন

সারাদেশের ন্যায় সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরেও রবিবার (৭ ফেব্রুয়ারি) করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। 

এদিন ৬০ জন টিকা নিয়েছেন। দুপুর ১২টায় প্রথম টিকা নিয়েছেন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি প্রবীন রাজনীতিবিদ সিদ্দিক আহমদ। 

এরপর যথাক্রমে টিকা নেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহেদী হাসান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মধু সুদন ধর, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি ইয়াসির আরাফাত, জগন্নাথপুর থানার ওসি (তদন্ত) মোছলেহ উদ্দিন, মিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহুবুবুল হক শেরিন, সৈয়দপুর-শাহারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তৈয়ব মিয়া কামালী উপজেলা আবাসিক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) আজিজুল ইসলাম আজাদসহ সরকারী কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, ডাক্তার, নার্সসহ বিভিন্ন পযার্য়ের মানুষ টিকা নেন।  

জগন্নাথপুরে প্রথমদানকারী রাজনীবিদ সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি সিদ্দিক আহমদ স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, ‘খুবই ভালো লাগছে টিকা দিতে পেরে। কেউ টিকা নিতে কেউ যাতে ভয় না পান সেই আমি প্রবীণ ব্যক্তি হিসেবে প্রথম টিকা দিলাম।’ করোনার মহামারি থেকে সুরক্ষায় টিকা দেওয়ার জন্য তিনি সবার প্রতি আহবান জানান।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সুত্র জানায়, প্রথম ধাপে উপজেলায় ৮ হাজার ৮শ’ করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন পাওয়া গেছে। এরমধ্যে ৪ হাজার ৪শ’ জনকে এই ভ্যাকসিন দুইবারে দেওয়া হবে। প্রথম টিকা দেওয়ার ২৮ দিনের পর দ্বিতীয় টিকা দেওয়ার মাধ্যমে করোনা ভাইরাসের ডোজ প্রদান সম্পন্ন হবে।

তবে পর্যাক্রমে আরও ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুইটি টিকাদান টিমের মাধ্যমে সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত টিকাদান কর্মসূচি চলবে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনটি টিকাদান কেন্দ্রে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে।  

জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.মধু সুদন ধর  জানান, স্বর্ত:স্ফুতভাবে মানুষ টিকা দিয়েছে। কারও কোন পাশ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেয়নি। জীবন সুরক্ষায় এই টিকা সবার জন্য দরকার।

তিনি জানান, প্রতিটি টিকাদান কেন্দ্রে দুইজন প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্য কর্মী ও চারজন করে স্বেচ্ছাসেবক রয়েছেন। এরমধ্যে ১৩০ জন নিবন্ধন করেছেন। এরমধ্যে প্রথমদিন ৬০ জন টিকাগ্রহণ করেছেন। 

উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহেদী হাসান বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এখনো করোনার প্রতিষেধক এই ভ্যাকসিন পায়নি। আমাদের মাননীয় প্রধানমস্ত্রী শেখ হাসিনার দুরদর্শায় প্রথমদিকেই আমরা ভ্যাসকিন পেয়েছি।

মহামারি করোনাভাইরাস থেকে নিজেকে সুরক্ষার জন্য টিকা একান্তই প্রয়োজন। তাই আমি নিজেও টিকা নিয়েছি। তাই কোনো ধরনের গুজবে কান না দিয়েছে জীবন রক্ষায় সবাইকে টিকা দেয়ার জন্য তিনি আহবান জানান।

এ এ/বি এন-১১