ধর্মপাশা প্রতিনিধি
ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২১
০১:০১ পূর্বাহ্ন
আপডেট : ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২১
০১:০১ পূর্বাহ্ন
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার ধানকুনিয়া, জয়ধনা, কাইলানী, সোনামড়ল, চন্দ্র সোনার থাল, গুরমা ও ঘোড়াডোবা হাওরের ৭টি ফসলরক্ষা বাঁধের ১৭টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) সভাপতি ও সদস্য সচিবকে শোকজ করা হয়েছে। গতকাল রবিবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মুনতাসির হাসান স্বাক্ষরিত এসব চিঠি আজ সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় ৯টি হাওরে ফসলরক্ষা বাঁধের ১৭০টি পিআইসি রয়েছে। গত ১৭ জানুয়ারি পিআইসি'র সভাপতি ও সদস্য সচিবদের মধ্যে প্রথম কিস্তির টাকা বিতরণ শুরু করা হয়। পাউবো'র কাবিটা নীতিমালা অনুযায়ী সঠিকভাবে বাঁধের কাজ না করায় উপজেলার ধানকুনিয়া হাওরের ৬ নম্বর, জয়ধনা হাওরের ৯ নম্বর, কাইলানী হাওরের ১৪ ও ১৯ নম্বর, সোনামড়ল হাওরের ২৬, ২৭ ও ৪৩ নম্বর, চন্দ্র সোনার থাল হাওরের ৫৩, ৫৭, ৬২, ৬৪, ৮৫ ও ৯১ নম্বর, গুরমা হাওরের ১৪৩ নম্বর এবং ঘোড়াডোবা হাওরের ১৫৬, ১৫৭ ও ১৫৮ নম্বর এই ১৭টি পিআইসি'র সভাপতি ও সদস্য সচিবের কাছে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক পিআইসি'র সভাপতি ও সদস্য সচিব বলেন, পিআইসি গঠন করার কাজ শেষ করতে অনেক দেরি করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের গাফলতির কারণেই এমনটি হয়েছে। আর এখন অযথা দোষারোপ করা হচ্ছে আমাদের। পাউবো'র নীতিমালা মেনে সঠিকভাবে প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজটি আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই শেষ করা হবে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী এবং উপজেলা কাবিটা প্রকল্প বাস্তবায়ন ও পর্যবেক্ষণ কমিটির সদস্য সচিব মো. এমরান হোসেন বলেন, 'প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজে ধীরগতি, স্লোপ ও কমপেকশনের কাজ সঠিকভাবে না করায় এখানকার ৭টি হাওরের ১৭টি পিআইসির সভাপতি ও সদস্য সচিবের কাছে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশপ্রাপ্তির ৩ কার্যদিবসের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মুনতাসির হাসান বলেন, 'এ উপজেলায় হাওরের কৃষকদের বোরো ফসলরক্ষায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবরকম প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।'
এসএ/আরআর-০৩