সিলেট মিরর ডেস্ক
                        ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২১
                        
                        ০৭:০৮ অপরাহ্ন
                        	
                        আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২১
                        
                        ০৭:০৮ অপরাহ্ন
                             	
 
                        
             
    নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের চাপরাশীর হাটে অনুসারীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই পৌর মেয়র কাদের মির্জার আহ্বানে হরতালের সমর্থনে মিছিল চলাকালে পুলিশ লাঠিপেটা করেছে।
শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে হরতালের সমর্থনে মির্জা কাদেরের সমর্থিত নেতাকর্মীরা বসুরহাট বাজারের রূপালী চত্বরে জড়ো হয়। সেখান থেকে মিছিল নিয়ে থানার সামনে গেলে পুলিশ তাদের ওপর লাঠিপেটা করে।
মির্জা কাদেরের সমর্থকদের দাবি, সকালের দিকে পুলিশ মারমুখী আচরণ করে, এ সময় পুলিশের লাঠিপেটায় তাদের অন্তত ১০জন নেতাকর্মী আহত হন।
পুলিশের লাঠিপেটায় নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলেও আবদুল কাদের মির্জা থানার সামনের রাস্তায় বসে পড়েন। পরে তাকে তার অনুসারীরা পৌরসভার দিকে নিয়ে যান।
আহতরা হলেন- উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক গোলাম ছারওয়ার, বসুরহাট পৌরসভা ৯নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি রাজীব, পিচ্চি মাসুদ, পৌরসভা ৪নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, যুবলীগ নেতা আরজুসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মী সমর্থক।
অপরদিকে, উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোম্পানীগঞ্জে দুইজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে কোম্পানীগঞ্জে র্যাব, ডিবি ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর জাহিদুল হক রনি সাংবাদিকদের জানান, সকালে কাদের মির্জা থানায় এসে ওসি এবং পরিদর্শক (তদন্ত) কে থানা থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে পুলিশের মুখের ওপর হাত নিয়ে অশ্লীল কথাবার্তা বলেন। কাদের মির্জা পুলিশের সিনিয়র অফিসারদের সঙ্গে গায়ে পড়ে মারমুখী আচরণ করে। এ সময় বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করলে পুলিশ হট্টগোল সৃষ্টিকারী মির্জার সমর্থকদের ওপর লাঠিপেটা করে।
এদিকে সকাল সাড়ে ১০টায় আবদুল কাদের মির্জা বসুরহাটের রূপালী চত্বরে গতকালের সশস্ত্র হামলার প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন করেন।
বিএ-০৮