জামালগঞ্জে কাসেম হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি

জামালগঞ্জ প্রতিনিধি


ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২১
০৪:৫২ অপরাহ্ন


আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২১
০৪:৫২ অপরাহ্ন



জামালগঞ্জে কাসেম হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি

জামালগঞ্জে মো. আবুল কাসেম হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় সাচনা বাজারস্থ সিএন্ডবি রোডে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। 

এর আগে প্রতিবাদী মিছিলটি বাজারের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে মানববন্ধনে গিয়ে মিলিত হয়। মানববন্ধন পরবর্তী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে ২১৩ জন স্বাক্ষরিত একটি স্মারকলিপি প্রদান করে নিহতের পরিবারসহ এলাকাবাসী। 

এর আগে ১৮ জানুয়ারি জামালগঞ্জ থানায় নিহতের ভাতিজা মো. মোবারক হোসেন বাদী হয়ে ৮ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-০৫।

স্মারকলিপি ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, ব্যাডমিন্টন খেলাকে কেন্দ্র করে সাচনা বাজার ইউনিয়নের পলক (শান্তিপুর) গ্রামের মৃত আজর আলীর ছেলে শাহনুর, ইসরাইল, আবনুর, ইসমাইল এবং তার ছেলে লালসাদ মিয়া, তোফাজ্জুল হোসেন, আক্তার হোসেন ও ইসমাইলের ছেলে আলী আহসানসহ একাধিক ব্যক্তি গত ১৭ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় একই গ্রামের মৃত এখলাছ মিয়ার ছেলে মো. কাশেম মিয়া ও তার স্ত্রী মালেকাসহ দুই ছেলে বিল্লাল মিয়া, হেলাল মিয়া ও নিহতের স্বজন মো. মফি আলীকে তাদের নিজ বাড়িতে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্বক জখম করে। 

পরে তাদেরকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাপসাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। 

সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ৯ ফেব্রুয়ারি মো. কাশেম মিয়ার মৃত্যু হয়। চিকিৎসাধীন ৩ জনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। স্মারকলিপিতে দলবদ্ধ সন্ত্রাসী চক্রের বিচার দাবি করা হয়।

নিহতের স্বজন মো. খুরশিদ আলমের সভাপতিত্বে ও মাওলানা আলী আকবরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, জামালগঞ্জ উত্তর ইউপি চেয়ারম্যান মো. রজব আলী, সাচনা বাজার ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান, ইউপি সদস্য মো. মানিক মিয়া, জামালগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শহীদুল ইসলাম, সাচনা বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. আক্তার হোসেন। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগ নেতা আসাদ আল আজাদ, কাজী আব্দুস শহীদ, কালা মিয়া, আব্দুল মতিন, নূরুল ইসলাম, জাকির হোসেন প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা হত্যার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবি জানিয়ে বলেন, একটি মানুষের নিরাপদ আশ্রয়স্থল হচ্ছে তার বাড়ি। আবুল কাসেম নিজের বাড়িতে গিয়েও খুনীদের হাত থেকে বাঁচতে পারেননি। ছোট একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে খুনীরা দল বেঁধে বাড়িতে ঢুকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে নিহত আবুল কাশেমসহ তার পরিবারের একাধিক মানুষকে কুপিয়ে মারাত্বক জখম করে। আমরা এই অমানবিক কর্মকান্ডে জড়িত সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

এ ব্যাপারে জামালগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ জানিয়েছেন, ৮ জনকে আসামী করে একটি এজাহার হয়েছে। এর মধ্যে ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। বাকি ২ জনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে এবং মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে।

বি আর/বি এন-৫