সিলেট মিরর ডেস্ক
ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২১
০৭:১২ অপরাহ্ন
আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২১
০৭:১২ অপরাহ্ন
সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স ও দেশটির প্রকৃত নেতা মোহাম্মদ বিন সালমান নির্বাসিত সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে ‘আটক নয়তো তাকে হত্যার’ অনুমোদন দিয়েছিলেন বলে শুক্রবার প্রকাশিত এক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের ওই গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘সব ধরনের গোয়েন্দা তথ্য বিশ্লেষণ করে আমাদের কাছে প্রতীয়মান হয়েছে যে খাসোগিকে আটক বা হত্যা করতে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অভিযান চালানোর অনুমোদন দেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।’
যুক্তরাষ্ট্রের ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইনটেলিজেন্সের দপ্তর থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে সৌদি আরবে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতার কথা বিবেচনা করে এই মূল্যায়নে পৌঁছানোর কথা জানানো হয়েছে। এর আগে সিআইএ এমন কথা জানিয়েছিল।
মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদনকে ‘নেতিবাচক, মিথ্যা ও অগ্রণযোগ্য’ হিসেবে অভিহিত করেছে সৌদি আরব।
সৌদি রাজপরিবারের কট্টর সমালোচক হিসেবে পরিচিত যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্টের কলাম লেখক জামাল খাসোগিকে ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অবস্থিত সৌদি কনস্যুলেটের ভেতরে হত্যা করা হয়।
সৌদি আরব শুরুতে খাশোগিকে হত্যার কথা অস্বীকার করলেও পরে চাপের মুখে দেশটির সরকার ‘কিছু উচ্ছৃঙ্খল কর্মকর্তা’ খাশোগিকে হত্যা করেছেন বলে স্বীকার করে। তবে যুবরাজ সালমান শুরু থেকে এই হত্যায় তার সম্পৃক্ততার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।
সৌদি আরব হত্যার দায় স্বীকার করার পরপরই এ হত্যাকাণ্ডের সাথে যুবরাজ মোহাম্মদের সংশ্লিষ্টতা নিয়ে সন্দেহের কথা জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ। কংগ্রেসের একটি কমিটিতে তাদের সন্দেহের পক্ষে গোপন তথ্য প্রমাণও তারা দিয়েছিল।
মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ মিত্র সৌদি আরব। তবে মানবাধিকার ও আইনের শাসনের প্রশ্নে বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যে তার পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে শক্ত অবস্থান নেবেন তা তার ক্ষমতা গ্রহণের পর নেওয়া নানান পদক্ষেপ থেকে স্পষ্ট।
এই গোয়েন্দা প্রতিবেদন প্রকাশের একদিন আগে বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সৌদির বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন জো বাইডেন। ফোনালাপে সৌদির বাদশাহর কাছে মানবাধিকার বিষয়ে প্রশ্নও তোলেন তিনি।
বিএ-০৫