মেয়াদ পার হলেও শেষ হয় না কাজ

জুড়ী প্রতিনিধি


মার্চ ০৪, ২০২১
০৬:১৩ অপরাহ্ন


আপডেট : মার্চ ০৪, ২০২১
০৬:১৩ অপরাহ্ন



মেয়াদ পার হলেও শেষ হয় না কাজ
জুড়ী-বিটুলি শুল্ক স্টেশন সড়ক

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার জুড়ী-বিটুলি শুল্ক স্টেশন সড়কের উন্নয়ন কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পরে মেয়াদ বাড়ানো হয়। সেই মেয়াদও পার হওয়ার পথে। দুই বছর আগে শুরু হওয়া কাজ এখন পর্যন্ত অর্ধেকও শেষ হয়নি। কাজের ধীরগতিতে সড়ক দিয়ে চলাচলকারীদের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা সদর থেকে বিটুলি শুল্ক স্টেশন পর্যন্ত ভাঙাচোরা প্রায় ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কটি প্রশস্ত ও মজুবতকরণের কাজ ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু হয়। এর ব্যয় নির্ধারণ করা হয় প্রায় ৭২ কোটি টাকা। ওয়াহিদ কনস্ট্রাকশন ও স্পেকট্রা ইন্টারন্যাশনাল নামে ঢাকার দু'টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে কাজটি পায়। পরে প্রতিষ্ঠান দু'টি ১০ কিলোমিটার জায়গার কাজের দায়িত্ব দেয় মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের সদস্য ঠিকাদার শহিদুল আলমকে। গতবছরের ৩১ আগস্টের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু করোনার কারণে বেশ কয়েকমাস কাজ বন্ধ থাকে। পরে কাজের মেয়াদ ২০২১ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়।

ওই সড়ক দিয়ে উপজেলার জায়ফরনগর, সাগরনাল, গোয়ালবাড়ী ও ফুলতলা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার লোকজন উপজেলা সদরে যাতায়াত করেন। এছাড়া আমদানি-রপ্তানির কাজে বিভিন্ন ধরনের পণ্যবাহী গাড়ি বিটুলি শুল্ক স্টেশনে আসা-যাওয়া করে। সড়কের কাজে ধীরগতি ও ধুলার কারণে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও সড়কটির কাজে ধীরগতির কারণে জনদুর্ভোগের কোনো প্রতিকার না হওয়ায় হতাশ। তারা কাজের ধীরগতির জন্য ঠিকাদারের গাফিলতিকে দায়ী করছেন।

সড়কটি দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা সওজ অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সহদেব সূত্রধর জানান, তাদের হিসাবে সড়কে এ পর্যন্ত ৫০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাইট ইঞ্জিনিয়ার মতিউর রহমান জানান, কিছুদিন বন্ধের পর তারা পুনরায় সড়কটির কাজ শুরু করেছেন। সড়কে দুই-একটি কালভার্ট নির্মাণের কাজ এখনও বাকি। মার্চ মাসের প্রথমদিকে সড়কের প্রথম ৩ কিলোমিটার জায়গায় কার্পেটিংয়ের কাজ শুরু করা যাবে বলে আশা করছেন তিনি।

সড়কের ১০ কিলোমিটার অংশের উপ-ঠিকাদার শহিদুল আলম জানান, ফুলতলা বাজার থেকে বটুলি শুল্ক স্টেশন পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার জায়গা প্রশস্ত করতে হবে। এ ব্যাপারে সওজ অধিদপ্তরের কাছ থেকে এখনও কোনো অনুমোদন মেলেনি। তাই ওই স্থানে কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। আর বাকি ৫ কিলোমিটারের কাজ দ্রুত শুরু করবেন তিনি।

সওজ মৌলভীবাজার কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জিয়া উদ্দিন জানান, ঠিকাদারকে বার বার তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কাজের অগ্রগতি হচ্ছে না। এ পরিস্থিতিতে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।

 

জেএইচ/আরআর-০১