মমতার ওপর হামলার অভিযোগ

সিলেট মিরর ডেস্ক


মার্চ ১০, ২০২১
১০:০৭ অপরাহ্ন


আপডেট : মার্চ ১০, ২০২১
১০:০৭ অপরাহ্ন



মমতার ওপর হামলার অভিযোগ

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানা যায়, তৃণমূল নেত্রীর মাথায়, কপালে এবং পায়ে চোট লেগেছে।

আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, বুধবার নন্দীগ্রামের রেয়াপাড়ায় একটি মন্দিরে পূজা দিয়ে বের হওয়ার সময় চার-পাঁচজন মমতাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। এতে তিনি মাথায়, কপালে এবং পায়ে চোট পেয়েছেন।

খবরে বলা হয়, এ ঘটনার পর নির্বাচনী প্রচার কর্মসূচি মাঝপথে বন্ধ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কলকাতায় ফিরিয়ে আনা হচ্ছে।

কলকাতায় ফেরার পথে রাস্তায় সাংবাদিকরা মমতার গাড়ি থামালে তিনি বলেন, ভিড়ের মধ্যে ৪-৫ জন বাইরে থেকে ঢুকে পড়েছিল। ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় আমাকে। ইচ্ছাকৃত ভাবে ধাক্কা মারা হয়। এর পেছনে ষড়যন্ত্র ছিল।

পড়ে গিয়ে পা ফুলে গিয়েছে বলেও জানান মমতা। গাড়ির দরজা খুলে সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশে বলেন, ‘দেখো কিতনা ফুল গয়া।’

ঘটনার সময় স্থানীয় পুলিশের কেউ ঘটনাস্থলে ছিল না বলেও অভিযোগ করেন মমতা।

বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত নন্দীগ্রামে থাকার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। কলকাতায় ফিরে দলের নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ করার কথা ছিল। কিন্তু আহত মমতাকে আপাতত কলকাতায় ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। বেলভিউ হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হবে বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে।

বুধবার হলদিয়ায় মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে নন্দীগ্রামে ফিরে আসেন মমতা। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, হলদিয়া থেকে ফিরে গাড়ি নিয়ে একাধিক মন্দির দর্শন করতে বেরিয়েছিলেন দলনেত্রী। সব শেষে রেয়াপাড়ায় যে বাড়ি ভাড়া নিয়ে রয়েছেন, সেখানকার রানিচকের একটি মন্দিরে হরিনাম-সংকীর্তন শুনতে যান। আরতি করেন। সেখান থেকে বেরোনোর সময়ই ভিড়ের মধ্যে থেকে তাকে ধাক্কা দেওয়া হয়।

জানা গিয়েছে, ভিড়ের মধ্যে আচমকা ধাক্কা দেওয়ায় মুখ থুবড়ে পড়ে যান মমতা। কপালে ও মাথায় আঘাত লাগে তার। আঘাত লাগে বাঁ পায়েও। সেই সময় ঘটনাস্থলে পুলিশের কেউ ছিল না বলে অভিযোগ। দেহরক্ষীরাই কোনো রকমে তুলে গাড়িতে নিয়ে যান মমতাকে। রেয়াপাড়ায় ভাড়া নেওয়া বাড়ির উদ্দেশে তাকে নিয়ে রওনা দেয় গাড়ি। কিন্তু পথেই অসম্ভব যন্ত্রণা অনুভব করেন মমতা। রাস্তায় গাড়ি থামিয়ে একটি দোকান থেকে বরফ নিয়ে তার পায়ে দেওয়া হয়।

কিন্তু বাড়ির কাছাকাছি পৌঁছতে আরও যন্ত্রণা আরও বাড়ে বলে জানা গিয়েছে। পিঠেও যন্ত্রণা অনুভব করেন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে সঙ্গে তাকে কলকাতায় ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিএ-১০