শায়েস্তাগঞ্জ প্রতিনিধি
মার্চ ১৬, ২০২১
১০:২৬ পূর্বাহ্ন
আপডেট : মার্চ ১৬, ২০২১
১১:৩৩ পূর্বাহ্ন
হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে কৃষিজমির খাল ভরাট করে পল্লী বিদ্যুতের সাব-স্টেশন নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ফসলহানির আশঙ্কা করছেন স্থানীয় কৃষকরা।
জানা যায়, গত ২০২০ সালে শায়েস্তাগঞ্জে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে নুরপুর ও পূর্ব নোয়াগাঁওয়ের মধ্যবর্তী স্থানে পল্লী বিদ্যুতের সাব-স্টেশন নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়েছিল, যে কাজ বর্তমানে প্রায় শেষের দিকে। মহাসড়কের পাশে পল্লী বিদ্যুৎ নিজস্ব জমি ক্রয় করে সাব-স্টেশন নির্মাণ করছে। কিন্তু উক্ত সাব-স্টেশনের পাশের পুকুরপাড়ের বেশ পুরোনো খাল গত প্রায় ৯-১০ মাস ধরে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
খাল বন্ধ থাকায় সাব-স্টেশনের আশেপাশের ফসলি জমি আসছে বর্ষায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সাব-স্টেশনের নির্মাণকাজ প্রায় শেষের দিকে হলেও পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা রাখেনি পল্লী বিদ্যুৎ।
সরেজমিনে দেখা যায়, মহাসড়কের পাশে অনেক উঁচু করে মাটি ফেলে এ স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে এসব জমিতে এমনিতেই পানি লেগে থাকে। খাল বন্ধ করে স্থাপনার কারণে কৃষিজমিতে জলাবদ্ধতা লেগেই থাকবে। ফলে অত্র অঞ্চলের কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে স্থানীয় কৃষক মো. মুন্না মিয়া গতকাল সোমবার (১৫ মার্চ) শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিনহাজুল ইসলামের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করছেন।
অভিযোগকারী নুরপুর গ্রামের মুন্না বলেন, 'আমরা সম্পূর্ণ কৃষিকাজের ওপর নির্ভরশীল। আমাদের জমির সামনের খাল বন্ধ করে দেওয়ায় আমরা ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। আমি বন্ধ হওয়া খাল খুলে দেওয়ার দাবি জানাই। এতে করে অত্র অঞ্চলের অনেক কৃষক লোকসান থেকে রেহাই পাবেন।'
এ বিষয়ে সাব-স্টেশনের একজন ঠিকাদারের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান, পল্লী বিদ্যুৎ সাব-স্টেশনের নিচ দিয়ে পাইপের মাধ্যমে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে দেবে। এখানে পানি আসা-যাওয়ার জন্য কালভার্টও করে দেওয়ার চিন্তা করছেন তারা।
এ বিষয়ে হবিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মো. মোতাহের হোসেন চৌধুরী জানান, সাব-স্টেশন অনুমোদনের সময় প্রজেক্ট থেকে ডিজাইন করে কালভার্ট করে দেওয়ার জন্য ঠিকাদারকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, যাতে পানি জমাট হয়ে না থাকে।
এসডি/বিএন-০৪/আরআর-০২