সৌদি আরবে অভিবাসী শ্রমিকদের নতুন অধ্যায়

সিলেট মিরর ডেস্ক


মার্চ ১৭, ২০২১
০৪:১২ পূর্বাহ্ন


আপডেট : মার্চ ১৭, ২০২১
০৪:১২ পূর্বাহ্ন



সৌদি আরবে অভিবাসী শ্রমিকদের নতুন অধ্যায়

অনেক আলোচনা-বৈঠকের পর সৌদি আরব তাদের শ্রম আইনে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার এনেছে। এই সংস্কারের মধ্য দিয়ে সৌদি আরবে অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য নতুন অধ্যায় শুরু হয়েছে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা। দেশটির ‘কাফালা’ ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনায় বেসরকারি খাতের বিদেশি শ্রমিকরা এখন নিয়োগকর্তার অনুমতি ছাড়াই চাকরি পরিবর্তন বা দেশত্যাগ করতে পারবেন।

সংস্কার হওয়া নীতিতে সরকারি চাকরির জন্য সরাসরি আবেদন করার সুযোগও উন্মুক্ত হচ্ছে বিদেশিদের জন্য, যা গত রবিবার থেকেই কার্যকর হয়েছে বলে আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। পত্রিকাটি লিখেছে, বড় ধরনের এই সংস্কারে বিদেশিদের সঙ্গে সব কাজের চুক্তি ডিজিটালি রেকর্ড করা হবে। তাদের যে বসবাসের অনুমতি দেওয়া হবে, তাতে নির্দিষ্ট নিয়োগকর্তার অধীনে চাকরি করার বাধ্যবাধকতাও আর থাকবে না। প্রায় এক কোটি বিদেশি কর্মী এই আইনি সংস্কারের সুবিধা ভোগ করতে পারবেন বলে আরব নিউজ জানিয়েছে।  

মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশ সৌদি আরবে ২০ লাখের বেশি বাংলাদেশি বিভিন্ন পেশায় কাজ করেন। প্রতি বছর তারাই সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স দেশে পাঠান। নতুন নিয়মের সুবিধা নিয়ে তারাও অপেক্ষাকৃত ভালো কাজের চেষ্টা করতে পারবেন এখন। সৌদি আরবের মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয় গত বছরের নভেম্বরে কাফালা ব্যবস্থা সংশোধনের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিল।

সাত দশকের পুরনো ওই নিয়মে বিদেশি কর্মীরা যে স্পন্সর নিয়োগকর্তার অধীনে সৌদি আরবে যেতেন, তার অধীনে এবং তার নির্দেশেই তাকে চলতে হতো। ফলে কাজ পরিবর্তন বা দেশে ফেরার স্বাধীনতাও তার থাকত না। এ কারণে নিয়োগকর্তার হাতে বিদেশি শ্রমিকদের নির্যাতিত হওয়ার অসংখ্য অভিযোগ বিগত বছরগুলোতে সংবাদমাধ্যমে এসেছে। সৌদি আরবে অবস্থানরত বিদেশি কর্মীরা শ্রম আইনের এই সংস্কারকে সানন্দে স্বাগত জানিয়েছে, কারণ এর মধ্য দিয়ে কাজের ক্ষেত্রে তাদের স্বাধীনতা বাড়বে।  

আরসি-০৩