কমলগঞ্জে সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি


মার্চ ২৩, ২০২১
০১:৫৩ পূর্বাহ্ন


আপডেট : মার্চ ২৩, ২০২১
০১:৫৩ পূর্বাহ্ন



কমলগঞ্জে সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর ইউনিয়নের বড়চেগ সিএনজি ফিলিং স্টেশন এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক জলিল মিয়াকে (২৬) ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় জড়িত আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে কমলগঞ্জ উপজেলায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (২২ মার্চ) সকাল ৬টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত সবধরনের যান চলাচল বন্ধ রেখে ভানুগাছ চৌমুহনায় সহস্রাধিক অটোরিকশাচালক ও পরিবহন শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন। কর্মসূচিতে পিতা হত্যার বিচারের দাবিতে অংশ নেয় নিহত জলিলের শিশুপুত্র।

এ সময় সড়কের দুইপাশে অসংখ্য গাড়ি আটকা পড়ে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ যাত্রীসহ শত শত পথচারী।

শমশেরনগর-কমলগঞ্জ শ্রমিক সমম্বয় কমিটি সোমবার ভানুগাছ চৌমুহনা চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। এ সময় সড়কে চলাচলকারী যানবাহন না পেয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীসাধারণ। কর্মসূচি চলাকালে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশ কঠোর অবস্থান গ্রহণ করে।

বেলা ১১টায় ভানুগাছ চৌমুহনা চত্বরে সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক-শ্রমিক ইউনিয়ন মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আজিজুল ইসলাম সেলিমের পরিচালনায় সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা কমিটির সভাপতি পাভেল আহমদ। অন্যদের মাঝে বক্তব্য দেন, আলমাছ মিয়া, আনোয়ার মিয়া, সারফিন মিয়া, সিরাজ মিয়া প্রমুখ।

সভা থেকে দ্রুত এ হত্যাকাণ্ডের মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়। অন্যথায় বৃহত্তর কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, অটোরিকশাচালক মুক্তিযোদ্ধাসন্তান জলিল মিয়াকে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহতের পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়ের করা হলেও ঘটনার ১৮ দিনেও পুলিশ মূল আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

এদিকে, অবরোধের সুযোগে কেউ যেন কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য কমলগঞ্জ থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসানের নেতৃত্বে পুলিশ ছিল কঠোর অবস্থানে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কমলগঞ্জ উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাসরিন চৌধুরী ও কমলগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মো. জুয়েল আহমেদ।

উল্লেখ্য, গত ৪ মার্চ রাত সাড়ে ১০টায় শমশেরনগর সিএনজি ফিলিং স্টেশনে গাড়িতে গ্যাস ভর্তি নিয়ে কথা কাটাকাটি ও উত্তেজনার সময় ছুরিকাঘাতে নিহত হন অটোরিকশাচালক জলিল মিয়া। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই কাশেম মিয়া বাদী হয়ে কমলগঞ্জ সদর ইউনিয়নের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক গোলাম কিবরিয়া শফি ও তার দুই ভাইসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৫/৬ জনকে আসামি করে কমলগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। নিহত জলিল মিয়া আলীনগর ইউনিয়নের আলীনগর বস্তির বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস মিয়া ওরফে লাল মিয়ার ছেলে।

কমলগঞ্জ থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসান বলেন, এ মামলায় পুলিশ ইতোপূর্বে এজাহারভূক্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের জোর তৎপরতা চলছে। 

 

এসডি/আরআর-০৯